"রাজ্যে ফিরতে চাইলে কাউকে বাধা দেবে না অসম সরকার, তবে খুব প্রয়োজন নাহলে ফিরে না আসারই অনুরোধ করছি": হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
আগামী ৩ মে থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলো খুলে দেওয়া হবে যাত্রীদের জন্য। আজ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, যেহেতু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে অসমের কোন জেলাই রেড জোনে পড়ছে না এবং কেবল মাত্র তিনটি জেলা অরেঞ্জ জোনে রয়েছে,তাই অসমের সবাই আন্ত:রাজ্য ভ্রমণের ব্যাপারে জানতে চাইছিলেন।
এই অবস্থায় যাদের ব্যক্তিগত যানবাহন রয়েছে বা যাতায়াতের ব্যবস্থা করা সম্ভব, তারা উত্তর পূর্বাঞ্চলের যে কোন রাজ্য থেকে কোন পাস বা অনুমোদন ছাড়াই অসমে আসতে পারবেন। অসম সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে কথা বলেছে। জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
তিনি আরো বলেন, যাদের নিজস্ব যানবাহন নেই তাদের জন্য রাজ্য সরকার পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। “আমরা সে সম্পর্কে অবহিত করব, এ ব্যবস্থা সেই অসম বাসীদের জন্য যারা উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশি রাজ্যে আটকা পড়ে রয়েছেন।”
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, তাকে প্রায়ই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাইরের রাজ্যগুলোতে বর্তমানে বসবাসরত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়।”অসম সরকার কাউকে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে আসতে বাধা দেবে না।” বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সঙ্গে যোগ করলেন,” বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষভাবে রেড জোন বা হটস্পটগুলোতে বসবাসকারী সব ব্যক্তিদের কাছে আমার আন্তরিক অনুরোধ, খুব প্রয়োজন না হলে অনুগ্রহ করে ফিরে আসবেন না। রেড জোন এবং হটস্পট থেকে অসমে ফিরে এলে তারা তাদের পরিবারের লোকজন এবং রাজ্যবাসীকে বিপদের মধ্যে ফেলতে পারেন। তাই আমার বিনীত অনুরোধ, কিছুদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।”
“যারা ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন কিংবা নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে অন্য রাজ্যগুলোতে, তাদের ব্যবসা কিংবা অফিস শুরু হয়ে গেলে ফিরে আসার প্রয়োজন পড়বে না। আমাদের বুঝতে হবে যে একবার কেউ ফিরে এলে তার আবার নিজস্ব জায়গায় তৎক্ষণাৎ ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না।”
তবু যারা উত্তর-পূর্বের বাইরের রাজ্যগুলোতে রয়েছেন এবং ফিরে আসতে চান, তারা পাসের জন্য assamtransportrelief@gmail.com এ লিখতে পারেন এবং নিজেরা যাতায়াতের ব্যবস্থা করার পর ফিরে আসতে পারেন। মন্ত্রী বলেন,” আমাদের অনুমান অনুযায়ী অসমের প্রায় ২০ লক্ষ বাসিন্দা রয়েছেন, যারা বর্তমানে রাজ্যের বাইরে বসবাস করছেন। সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হবে না।যাদের ফিরে আসার সত্যিকার অর্থে দরকার রয়েছে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।অসম পুলিশ এই যাচাই প্রক্রিয়াতে কাজ করছে এবং রেল মন্ত্রকের সঙ্গে মিলে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। সব কাজ করা হবে,তবে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন, জানালেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বের বাইরের রাজ্যগুলোতে বসবাসকারী অসমবাসীদের ৭৪২৮১৫৯৯৬৬ নম্বরে মিসকল দিতে হবে এবং তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি ফর্মের লিঙ্ক পাবেন, যেখানে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ভরে দেবেন। শর্মা এও বলেন, সবাইকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, অত্যন্ত প্রয়োজন হলেই কেবল তাদের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি যোগ করেন, এদের সংখ্যা প্রচুর হলে চিকিৎসাগত অবকাঠামো, কোয়ারান্টিনে রাখার ব্যবস্থা ইত্যাদির ওপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং কোভিড পজিটিভ কেসের সংখ্যায়ও তারতম্য ঘটতে পারে।
Comments are closed.