স্ত্রীর অবৈধ প্রেমের জেরেই খুন আজাদ হিন্দ রোডের পরিতোষ, স্ত্রী জোনাকী সহ গ্রেফতার প্রেমিক
আজাদ হিন্দ রোডের ব্যবসায়ী পরিতোষ পালের মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে পরিতোষের স্ত্রী সিথি পাল ওরফে জোনাকি কে তদন্তের জন্য আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে কোর্টে পেশ করা হয় পরে তিন দিনের রিমাণ্ডে পাঠানো হয় তাকে।
পরিতোষের পরিবারের তরফে দেওয়া এফআইআর এর উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার ন্যাশনাল হাইওয়ে রোডের ব্যবসায়ী অশোক ধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরিতোষের বাড়িতে এবং সংলগ্ন এলাকায় তদন্ত করে পুলিশ, এতে উঠে আসে কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য। পরিতোষের ঘর থেকে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। তাঁর দুই মেয়ের বয়ান থেকে জানা যায় যে সোমবার ভোরে তারা তাঁদের মাকে জল দিয়ে ঘর পরিস্কার করতে দেখে। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলে জোনাকি বলেন রাতে ঘরে লাল রং দিয়ে হোলি খেলা হয়েছিল সেগুলি পরিস্কার করছেন তিনি। রাতে একাধিক ব্যক্তিকে ঘরে আসতেও দেখে তাঁরা। পাশাপাশি এও জানায় যে তাঁদের মা-বাবার মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকতো এবং এতে তারা ভয়ে ভয়ে থাকত।
পরিবারের তরফে বলা হয়েছে অশোক ধরের সঙ্গে জোনাকির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তিতে ছিল পরিতোষ। তবে জোনাকিকে কিছুতেই বোঝানো যায়নি। পরিতোষ জোনাকি কে ছাড়তেও রাজি ছিলনা তাই তাঁর এই পরিনতি হয়েছে।
উল্লেখ্য সোমবার সকালে আজাদ হিন্দ রোড এলাকা সংলগ্ন খালের পার থেকে পরিতোষ পালের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন স্থানীয় জনগণ মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। বছর পঞ্চাশের পরিতোষ পাল, স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে চেংকুরি রোডের রামকৃষ্ণ সরনিতে নিজের বাড়িতে থাকতেন। তবে ব্যবসার কাজে প্রায় সময় মিজোরামেই থাকতে হতো তাঁকে এবং খুব কম সময়ই শিলচর থাকার সুযোগ হতো তাঁর।
জোনাকী বলেছিলেন রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর দুই মেয়ের আবদারে খাবার আনতে যান পরিতোষ তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তবে পুলিশের তদন্তে অন্য তথ্য বেরিয়ে আসে।নেশনাল হাইওয়ে রোড পুলিশ পয়েন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিভুবন সইকিয়া বলেন, মৃতদেহটি অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায় এবং মৃত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ছিল। এবার তদন্তে আরও অনেক তথ্য উঠে আসছে। এতে বোঝা যাচ্ছে ঘটনাটি খুনের এবং এর পেছনে আছে অবৈধ প্রেম !
Comments are closed.