Also read in

মেধাতালিকায় অষ্টম ও দশম স্থানাধিকারী অনিশা ও পার্সা ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়!

যদিও বলা হয় দশম শ্রেণীর ফলাফল জীবনের পরবর্তী ধাপে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করে না, অথচ ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু সবচাইতে বেশি উতলা বা অধীর থাকে দশম শ্রেণীর ফলাফল নিয়েই। জীবনে বোর্ডের প্রথম পরীক্ষা বলে কথা! সেই দিক দিয়ে আজ ঘোষিত সেবা’র মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও উত্তেজনা ছিল টানটান।

বরাক উপত্যকার দুজন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও পুখুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ধৃতিরাজ বাস্তব ৬০০ র মধ্যে ৫৯৫ পেয়ে প্রথম স্থানটি দখল করেছে।

শিলচর হলিক্রসের ছাত্রী অনিশা রায় ৬০০ র মধ্যে ৫৮৬ পেয়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে। সে সাধারণ বিজ্ঞানে ১০০, ইংরেজিতে ৯৭, সাধারণ গণিতে ৯৯, সমাজ বিজ্ঞানে ৯৭, ঐচ্ছিক গণিতে ৯৯ এবং হিন্দিতে ৯৬ পেয়েছে।

 

Anisha Roy with her family

পাবলিক স্কুল রোডের বাসিন্দা অনিশা জানালো, “মেধাতালিকায় স্থান পাব আমি কখনো ভাবি নি। তবে আমার বাবা ভেবেছিলেন।”

 

সেইসঙ্গে অনিশা যোগ করল, ” আমি এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রতিদিন ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। আমার একটা মুশকিল হচ্ছে, আমি বেশি গোলমাল কিংবা আওয়াজের মধ্যে পড়াশোনা করতে পারিনা। সে কারণে আমি রাত্রিবেলা পড়াশোনা করতাম, যখন সবাই ঘুমোত।” ভবিষ্যতে অনিশা ডাক্তার হতে চায় বলে জানালো।

 

 

Paarsaa Tasneem Barbhuiya with her family

অন্যদিকে দশম স্থানাধিকারী শিলচর কলেজিয়েট স্কুলের পার্সা তাসনিম বড়ভূইয়া জানালো,” আমার মা-বাবা এবং শিক্ষকরা আজকের এই সাফল্য অর্জনে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন।” শিলচর হিতেশ বিশ্বাস সরণির বাসিন্দা পার্সা সাধারণ বিজ্ঞানে ১০০, ঐচ্ছিক গণিতে ১০০, ইংরেজিতে ৯৫, সাধারণ গণিতে ৯৮, সমাজবিজ্ঞানে ৯৯ ও বাংলায় ৯২ পেয়ে সর্বমোট ৫৮৪ নম্বর পেয়েছে।

“এই ফলাফলের পেছনে প্রচুর পরিশ্রম রয়েছে। আমার মা-বাবার সমর্থন সম্পূর্ণভাবে পেয়েছি। কষ্ট করার পর যখন এর ফল পাওয়া যায়, তখন আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা অনুপ্রাণিত হই । তাই আমার এই ফলাফলে আমি খুবই খুশি। আমার পরিবারের লোকজনরাও খুব খুশি।”

 

 

অনিশা রায়ের মত পার্সাও একজন ডাক্তার হতে চায়। জানালো, ” ছোটবেলা থেকেই আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আর এই মহামারি’র মধ্যে আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি ডাক্তারদের গুরুত্ব কতটা।”

অনিশা তার জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে বলল,” যদি স্কুল পরীক্ষায় ভালো নম্বর নাও পাওয়া যায় তবু বোর্ডের পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া উচিত।” অন্যদিকে পার্সার বার্তাটি হচ্ছে,”কখনো হাল ছাড়া উচিত নয়।”

Comments are closed.