
উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ক্লাসে ভর্তির জন্য এবার কোন ফি দিতে হবে না , "কোভিডের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত"
“প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রী একেবারে বিনামূল্যে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে”, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘোষণা করলেন আজ বিকেলে। তিনি জানান, কোভিড সংকটের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এমনকি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটেকনিক কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য ও কোন ফি দিতে হবে না। “এ বছর অনেক ছাত্রের পিতা-মাতাকেই অর্থ সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই কোভিড সংকটের জন্য, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর ১০০% ভর্তি ফি মুকুব করা হবে” জানান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মন্ত্রী স্পষ্টতই জানান ফি মকুব মানে সত্যিকার অর্থেই মুকুব। ভর্তির সময় সরস্বতী পূজা, ম্যাডাম মাফি, এক্সকার্শন, প্রসপেক্টাস এগুলোর নাম করে কোন ধরনের টাকা নেওয়া চলবে না। এ ধরনের কোনো প্রচেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থ তথা শিক্ষা মন্ত্রী। সর্ব শিক্ষার অধীনে ২৯৭০১ টেট শিক্ষক কাজ করেন, এদের সরকারি পে স্কেল এবং অন্যান্য সুবিধা সহকারী শিক্ষকদের মতই প্রদান করা হবে এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্তই এরা নিয়োজিত থাকবেন।
১ জুন থেকে ১১২০৬ জন স্টেট পুল শিক্ষক সরকারি শিক্ষকদের মত পে স্কেলের সুবিধা পাবেন।
সর্বশিক্ষা অভিযানের শিক্ষকদের সাথে অন্যান্য সরকারি শিক্ষকদের বেতন কাঠামো কোন ব্যবধান থাকবে না। টেট শিক্ষকেরা এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন, এজন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দেওয়া হবে।
এবার স্টার মার্ক পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ল্যাপটপের পরিবর্তে কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গত বৎসরের ল্যাপটপ প্রদান দেরী হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বরাক উপত্যকা এবং পাহাড়ি এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যের সর্বত্র প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্কুলে অসমীয়া বাধ্যতামূলক হবে।
Comments are closed.