Also read in

হিমন্ত বিশ্বশর্মার ‘ই-বাজেটে’ বরাক উপত্যকা কি পেল...

  • করিমগঞ্জে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ
  • শিলচরে একটি নতুন আইন কলেজ
  • করিমগঞ্জের সূতারকান্দি আন্তর্জাতিক সীমান্তে শুরু  হবে ওয়াগা সীমান্তের মতো বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান
  • শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাঁসপাতাল তথা সমগ্র আসামে কর্কট রোগীদের জন্য ক্যান্সার কেয়ার কেন্দ্র খোলা হবে।
  • করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি ও সোনাইয়েএকটি করে মহিলা কলেজ খোলা হবে।
  • শিলচরের  পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।
  • উধারবন্দের মধুরা নদীর উপর একটি আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হবে।
  • পাথারকান্দিতে একটি মডেল কলেজ হবে।
  • অর্থমন্ত্রী হাইলাকান্দির  গুদামঘাটে একটি আর.সি.সি. সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
  • প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য ২৫হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
  • করিমগঞ্জ  স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট লাগানো হবে।
  • আলগাপুরে ধলেশ্বরী নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
  • গৃহরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের দৈনিক মজুরি ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা করা হবে।
  • ডিমা হাসাওয়ে একটি নতুন বি-এড কলেজ নির্মাণ করা হবে।
  • আসামের ৫২ লক্ষ পরিবারকে ৯ ওয়াটের চারটি এল.ই.ডি বাল্ব দেওয়া হবে।
  • দক্ষিণ করিমগঞ্জে ১৮০টি নতুন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
  • প্রতিটি জেলায় জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি ‘মেলার’ (প্রদর্শনী)আয়োজন করা হবে
  • গুনোৎসবকে একটিবিরাট বড় সাফল্য আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে স্বাস্থ্যসেবার উৎকর্ষ সাধনের জন্য ‘স্বাস্থ্য সেবা উৎসব’অনুষ্ঠিত হবে
  •  ১২ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েদের প্রতি বছর ৬০০ টাকা স্যানিটারি ন্যাপকিন ক্রয়ের জন্য ভাতা হিসাবে দেওয়া হবে যদি তাদের পরিবারের বার্ষিক আয় পাঁচ লক্ষ টাকার কম হয়। টাকাটা সরাসরি মেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ ২১৪৯.০৪ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট উপস্থাপন করেন, যাতে শিক্ষা, চা বাগানের শ্রমিক ও প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামেরএই বাজেট গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় প্রচার মাধ্যমের শিরোনামে ছিল। হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই বাজেটকে প্রথম ‘ই-বাজেট’ হিসেবে চিন্হিত করেন যা বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়াতে অনলাইন ‘স্ট্রিমিং’ এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এরই সঙ্গে আসাম দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে ‘ই-বাজেট’ উপস্থাপন করে, প্রথমটি ছিল অন্ধ্র প্রদেশ।

“শিক্ষা সমাজের মূলস্তম্ভ,” এই দিয়ে তিনি তার বাজেট ভাষন শুরু করেন এবং তারপর একের পর এক নতুন নতুন প্রস্তাব ঘোষণা করেন। তিনি তার বাজেটে ১০ টি নতুন আইন কলেজ , ১০ টি বি.এড. কলেজ, ৯ টি নতুন মহিলা কলেজ, তিনটি নতুন পলিটেকনিক এবং একটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনার বিষয়ে উল্লেখ করেন । এই বাজেটে কোনও নতুন করের ঘোষনা করা হয়নি। স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্যও ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিশ্বশর্মা বিদ্যুৎ শুল্কের ৫ শতাংশের উপর মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব দেন এবং স্থাবর সম্পত্তির লেনদেনের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি ​​রেজিস্ট্রেশন ফি ১ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা উল্লেখ করেন।

এই বাজেটে চার স্ল্যাবে বার্ষিক বৃত্তির রাশি ১০০০০ হাজার পর্যন্ত সুপারিশ করা হয়েছে।এর পুরোটাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপযুক্ত মেয়েদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে যারা দশম শ্রেনীর পরেও শিক্ষা লাভ করতে ইচ্ছুক। আরো বলা হয়েছে এইসব মেয়েদেরই এই ক্ষেত্রে অবিবাহিত এবং পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক বলে স্ব-প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।শর্মা সুপারিশ করেন, এবার থেকে অবসরপ্রাপ্তের মৃত্যুর পর তার অবিবাহিত মেয়ে পেনশন গ্রহণ-যোগ্যা বলে বিবেচিত হবেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেয়েদেরকে বিতরণ করা স্কুটারের সংখ্যা ১০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ করা হয়েছে।

বাজেট সম্পর্কে কে কি বল্লেন…

 

 

 

Comments are closed.