
বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আজ 'শুধু দলছুট' সন্ধে ৭টা থেকে
শিলচর – আজ ২১ জুন, বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। এদিন দলছুট আয়োজন করছে ‘এক সন্ধ্যায় শুধু দলছুট’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। সন্ধে ৭টা থেকে নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে একযোগে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার কথা জানিয়েছেন দলছুটের সম্পাদক দিব্যেন্দু সোম।
করোনা-কালেও সঙ্গীত দিবসের মূল ভাবনাকে সবার কাছে পৌছে দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দলছুট। বলা বাহুল্য, ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ‘ফেতে দে লা মিউজিক’ হিসেবে এই দিবসের সূচনা হয়েছিল মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী জোয়েল কোহেনের ভাবনার সূত্র ধরে। নব্বইয়ের দশকে এই দিনটির ভাবনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইউরোপে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই দিবস উদযাপন শুরু হয় মূলত একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। এদিকে ইন্টারনেট যুগ বিস্তার লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের প্রচার-প্রসার ঘটে তীব্র গতিতে। আর, বরাকে দিনটির সঙ্গে মূলত পরিচয় ঘটায় দলছুট। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো শিলচরে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দিনটিকে উৎসবের আকার দেয় বাংলা গানের এই দলটি।
বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের বার্তাই হচ্ছে সঙ্গীতকে জনতার আরো কাছাকাছি নিয়ে আসা, আরো মুক্ত করা। এই লক্ষ্য নিয়েই ২০০৯ সাল থেকে দলছুট দিনটি উদযাপন করে আসছে। এবারও যার অন্যথা হল না।
করোনা-কালে মুক্ত আকাশে বা মুক্ত মঞ্চে তো দূর, বন্ধ প্রেক্ষাঘরেও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি নেই। তাই বলে থেমে থাকেনি দলছুটও। সরকারি গাইডলাইন মেনে যতটা যা করা যায়, তার মধ্যেই একটা উৎসবের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করেছে তারা। নিজেদের চারটি গানে ২৫ জনের বেশি শিল্পীকে তারা জুড়েছে। যা অডিও-ভিডিও রেকর্ড করে রিলিজ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতেই অন্যবারের মতো এবারও নিশ্চিত হয়েছে যুব প্রজন্মের অংশগ্রহণ।
এদিকে, উপত্যকার দু’টি দল করিমগঞ্জের ভারতী গ্রুপ ও হাইলাকান্দির ফেরিওয়ালাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় করিয়েছে চ্যারিটি শো। শোগুলি স্পনসর করতে এগিয়ে আসেন সুদর্শন গুপ্ত, অজয়কুমার রায়, নিখিল পাল, জয়দীপ চক্রবর্তীর মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। পরপর দু’দিনে চ্যারিটি শো থেকে উঠে আসা অর্থ তারা তুলে দিচ্ছে দু’জন দুস্থ শিল্পীর হাতে, গান-বাজনাই যাদের জীবিকা। তবে দান হিসেবে নয়, মূলত তাদের গানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবেই এই অর্থ তুলে দিচ্ছে তারা। ওই শিল্পীদের গান রেকর্ড করে পোস্টও করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার মধ্যে রসলাল দাস নামের এক শিল্পীকে শনিবারই পারিশ্রমিক তুলে দিয়েছে তারা, যে কাজটি সমাদৃত হচ্ছে সংস্কৃতিমহলে।
Comments are closed.