Also read in

'বিরোধী দলকে চুপ করানোর অস্ত্র হিসাবে করোনাকে ব্যবহার করছে সরকার', সুস্মিতা দেব

প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং কংগ্রেসের অন্যান্য প্রবীণ নেতৃবৃন্দ পেট্রোল এবং ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামের বিরুদ্ধে আজ শিলচরে প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আধিকারিকরা হস্তক্ষেপ করেন এবং এ ধরনের বিক্ষোভ সম্ভব নয় বলে জানান।

এ ব্যাপারে সুস্মিতা দেব বলেন, “পুলিশ আধিকারিকরা আমাদের মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন এবং আমাদের কর্মীদের আটক করতে শুরু করেন। তিনি আরো বলেন, “আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে যাবতীয় নির্দেশ পালন করার আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ আধিকারিকরা জানান যে আমাদের প্রতিবাদের অনুমতি দেওয়া যাবে না।”

“আমরা দুদিন আগে জেলা উপায়ুক্তের কাছে গিয়েছিলাম এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ অন্যান্য নিয়মাবলী মেনে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানোর অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয় থেকে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অথচ অন্যদিকে বরাক উপত্যকায় বিজেপিকে অনেকগুলো সমাবেশ করতে দেখেছি আমরা। রাজ্য পুলিশ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না, শুধু আমাদের বেলায় কেন এই বাধা প্রদান”, সুস্মিতা দেব প্রশ্ন তোলেন।

কংগ্রেস কর্মীরা সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন, অসমে কেবল তারা পুলিশের ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন বলে দেব উল্লেখ করেন।

“সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী শিলচর পরিদর্শন করে যান। বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।কংগ্রেস এবং বিজেপির জন্য দেশের আইন কিভাবে আলাদা হতে পারে?আমরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি বলেই কি আমাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে”, মহিলা কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি এই প্রশ্ন তোলেন।

“আমরা জেলা উপায়ুক্তের কাছে এ ব্যাপারে আবারও অনুমতি চাইব, এবার যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে তো ‘দুধ কা দুধ পানি কা পানি’ হয়ে যাবে।”

তিনি সবশেষে বলেন, “এটা স্পষ্ট যে সরকার বিরোধী দলকে চুপ করানোর জন্য করোনাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

কাছাড় কংগ্রেস অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, যাদের পুলিশ আজ আটক করেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ পাল, পাপন দেব, অনুপম পাল, রাজেশ দেব,কুশল দত্ত প্রমুখ।

Comments are closed.

error: Content is protected !!