Also read in

গর্ভবতী মহিলা, সেনা জওয়ান, সরকারি কর্মচারি সহ জেলায় আক্রান্ত ১৮, মৃত এক

কাছাড় জেলায় বৃহস্পতিবার ১৮ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে রয়েছেন গর্ভবতী মহিলা, বিএসএফ ও আসাম রাইফেলস জওয়ান, ডিআরডিএ কার্যালয়ের একজন কর্মচারি সহ অনেকেই। এদিকে মৃত্যুর পর করোনা ছিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে একজনের।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন বিমানযাত্রী পজিটিভ হয়েছেন। এরা হলেন, শ্রীকোনার সামসুদ্দিন লস্কর (৩০), তিনি মুম্বাই থেকে ফিরে ছিলেন, হায়দ্রাবাদ থেকে ফেরা বড়জালেঙ্গা এলাকার উপেন্দ্র চন্দ (৩৭), আনন্দখাল বাঘার বিজয় মুরা (২০), দোয়ারবন্দের মতিলাল রিকিয়াসন (২৬), ধলাইয়ের ডার্বি চা বাগানের রাজেশ রি (২৫) এবং আমরাঘাটের পাপ্পু ঠাকুর (৩৪)।

আসাম রাইফেলসের পাঞ্চা রায় (৩৬) এবং কৈলাস (৪২) এদিন পজিটিভ হয়েছেন। ধলছড়া বিএসএফ ক্যাম্পের বাবু লাল (৫৬), অজিত সিং (৫৪), কান্দন এ (৪০), ধিরেন্দ্র কুমার (৫৩) কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়া মাছিমপুর মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন গর্ভবতী মহিলা এদিন পজিটিভ হন।

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ এখন আগে থেকে তীব্রতর হয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ভাইরাস জিনগত পরিবর্তন এনেছে এবং আরও সাংঘাতিক হয়ে উঠেছে। জেলায় এখন সিমটোমেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদিন শিলচর ডিআরডিএ কার্যালয়ের কিক রো নামের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। কাছাড় জেলায় সরকারি কর্মী এর আগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, সম্ভবত তিনি প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সরকারি কর্মচারি। এছাড়া রাঙ্গিরখাড়ি এলাকার পিন্টু ঘোষ (৩৫) এবং সুমিতা রানী ঘোষ (২৩) পজেটিভ হয়েছেন।

জানিগঞ্জের ব্যবসায়ী নারায়ন মিত্র (৭০) এদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও এটি করোনায় মৃত্যু বলে ধরা হচ্ছে না, তবে তার শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এটা মেনে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি ডাক্তারের পরামর্শেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন নারায়ন মিত্র। বুধবার তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার অক্সিজেনের মাত্রা এতটাই নেমে গিয়েছিল যে বাধ্য হয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কোনও রোগীর চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করার কথা। তবে তার শারীরিক অবস্থা তেমন ছিলনা, ফলে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পরেই স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জন আক্রান্তের তালিকা দেওয়া হয়েছে। নারায়ন মিত্রের ছেলে অভিজিৎ মিত্র বৃহস্পতিবার বিকেলে পজিটিভ হয়েছেন, তাকে হাসপাতালে কোভিড জোনে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে এদিন জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮।

Comments are closed.