
জেলাশাসক কীর্তি জাল্লির মা-বাবা করোনা আক্রান্ত, ছোট বোনের সোয়াব টেস্টের রেজাল্ট এখনও আসেনি
কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জাল্লির মা এবং বাবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার ছোট বোনের সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, এখনও রেজাল্ট আসেনি। তারা প্রত্যেকেই হায়দ্রাবাদে রয়েছেন এবং কয়েকদিন ধরে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। জেলাশাসক নিজেই খবরটি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার মা এবং বাবা কয়েকদিন ধরে সামান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় সমস্যায় ভুগছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করানো হয় এবং দুজনেরই রেজাল্ট পজিটিভ হয়েছে। তাদের দেখাশোনা করছে আমার ছোট বোন। তারা সকলেই হায়দ্রাবাদে আমাদের নিজস্ব বাড়িতে রয়েছেন। আমার ছোট বোনের স্যাম্পল পরীক্ষা হয়েছে, এখনো রেজাল্ট আসেনি। এত দূরে থাকছি এবং এই পরিস্থিতিতে এখন বাড়ি যাওয়া প্রায় অসম্ভব; তবে ফোনে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে মনের ভেতর একটা অশান্তি রয়েছে, পরিবারের মানুষ এভাবে আক্রান্ত হলে কার না মনে ভয় হয় বলুন?”
তবে এই পরিস্থিতিতেও জেলা শাসক হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে কোনো খামতি রাখছেন না কীর্তি জাল্লি। প্রয়োজনীয় সরকারি বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। এমনকি শ্মশানঘাটে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে এলে সেখানে নিজে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন।
এর আগে হাইলাকান্দিতে তিনি দক্ষ হাতে অনেক প্রকল্প সামাল দিয়েছেন। কাছাড় জেলায় অনেক সমস্যা রয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ে জনমনে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। সম্প্রতি সায়ন দাসের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল তুলছেন। তবে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে জেলাশাসক এগিয়ে থাকেন।
কাছাড় জেলায় কোনও ব্যক্তি জেলাশাসক হয়ে এলে তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অতীতে এস বিশ্বনাথন, এস লক্ষ্মণন, লায়া মাদ্দুরি বা আরও অনেকেই যারা কাছাড় জেলার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সঙ্গে এখনও জেলার মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। এভাবেই কীর্তি জাল্লির প্রতিও জেলার সাধারণ জনগণের সহানুভূতি রয়েছে। প্রত্যেকে তার মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্বাস্থ্যের কামনা করছেন।
Comments are closed.