Also read in

"সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে কেবল যে অপরাধী শনাক্তকরণে ভূমিকা রাখবে তা নয়, এটি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি শক্তিশালী উপকরণ": ডিজিপি, ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত

ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত, আইপিএস, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আসামের ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তাকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রচণ্ড আন্দোলনের মুখোমুখি হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার পরেই আসে অতিমারি কোভিড-১৯ ।

ডিজিপি হচ্ছেন একটা রাজ্যের পুলিশের উচ্চতম আধিকারিক। ভাস্কর জ্যোতি মহন্তের মতে,এটি ‘অগণিত চ্যালেঞ্জ’র অন্য নাম। আর এই মুহূর্তে সেই চ্যালেঞ্জ বা দায়িত্ব পালনের মধ্যে একটি হলো করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই। ‘যদিও আমাদের সমস্ত জীবদ্দশায় বর্তমান মহামারির সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন সমান্তরাল কিছু নেই, তবে অবশ্যই অতীতের ঘটনা থেকে একজন কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন এবং এগুলোকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারেন”, এমনটাই বিশ্বাস ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতির।

ভারত সরকারের প্রাক্তন এডিজি এবং ভারী শিল্প মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, যিনি আবার পুরস্কার প্রাপ্ত অসমিয়া চলচ্চিত্র “যুগদ্রষ্টা- দ্য ভিশনারি” পরিচালনা করেছিলেন, সেই ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত বরাক বুলেটিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক শিশু অপহরণ-হত্যা, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, অবৈধ কর্মকাণ্ডের নিরাপদ স্থান হিসেবে বরাক উপত্যকাকে ব্যবহার সহ বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। নিচে ওই সাক্ষাৎকারের নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হলো:

সম্প্রতি কাছাড় জেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যা করা হয় । এই দুঃখজনক ঘটনা সম্বন্ধে আপনার মতামত কি, এটা কি পুলিশের ব্যর্থতা ?

ঘটনাটি সম্প্রতিককালের অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বর্বর অপরাধ। যে নৃশংস ভাবে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেটা আমাদের সমাজে চরিত্রের অবনমন প্রতিফলিত করছে। সামাজিক অবক্ষয় বর্তমানে সমাজের কাছে এক চ্যালেঞ্জ স্বরূপ দাঁড়িয়েছে এবং সমাজকেই এটার প্রতিকার করতে হবে। এটাই সর্বশেষ অপহরণ বা হত্যার ঘটনা নয়, এ ধরনের আরো ঘটনা সংঘটিত হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা অপরাধীকে খুব শিগগির ধরতে সক্ষম হয়েছি কি না। আমরা কি অপরাধীকে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এই কেসটা ব্যক্তিগতভাবে তদারক করছি এবং অপরাধী খুব শিগগির ধরা পড়ায় আমি খুশি। তবে ধরা পড়ার আগেই সে মারাত্বক ক্ষতিসাধন করে ফেলেছে। যেহেতু বর্তমানে এটা বিচারাধীন বিষয়, তাই অপহরণকারী কি বলছে সেটা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে চাই না।

যেহেতু চূড়ান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেছে এখন পুলিশ কি করতে পারে, আপনার মনে হয় ?

এখন, আইনের চুলচেরা বিচারে ও অপরাধী যাতে যথোচিত শাস্তি পায়, সেভাবে কেসটার ফলোআপ করতে হবে, এই মুহূর্তে এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ । এই কেসটার ‘কেস ডায়েরি’ খুব শক্তিশালী হতে হবে, এই জঘন্য অপরাধের ব্যাপারে আসাম পুলিশ খুব গুরুত্ব প্রদান করছে। আমি সিআইডি’র ইন্সপেক্টর জেনারেলকে এই কেসটা শুধু তদারক করা নয়, তদন্তকারী অফিসারের পারদর্শিতার দিকেও নজর রাখতে বলেছি। শুধু তদন্ত যথেষ্ট নয়, কি তদন্ত চলছে কিভাবে চলছে, প্রমান গুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা, সব কিছুর দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের সাথে প্রত্যেকদিন কেসের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলেছি যাতে এই কেস দিনের আলো দেখতে পারে। যদি তদন্তকারী অফিসার মান অনুযায়ী তদন্ত করতে অক্ষম হন, তাহলে প্রয়োজনে তার স্থানে অন্য কাউকে নিয়োগ করা হবে।

এবারে অন্য প্রসঙ্গ, সিভিল সার্ভিসের কঠিন পরীক্ষায় বসতে ইচ্ছুক যুবামনে আপনাদের মত অফিসাররা বেশ প্রভাব ফেলেন। আসামের ডিজিপি হিসেবে আপনার অভিজ্ঞতা বিশেষত এই অতিমারির সময়ের অভিজ্ঞতার কথা আমাদের কিছু বলুন।

রাজ্য পুলিশের ডিজিপি হিসেবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। আমাকে এমন একটা সময়ে ডিজিপি করা হয়েছিল যখন সমগ্র রাজ্য ‘ক্যা’ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল এবং কিছু সময়ের জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছিল। আমি মনে করি জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতাই স্বতন্ত্র।

যদিও বর্তমান অতিমারির মতো ঘটনার সাথে আমাদের জীবনের কোন কিছুর তুলনা হতে পারে না, তবুও অতীতের কোন কোন অভিজ্ঞতা কিছু কাজে আসতে পারে। আমি ভাগ্যবান যে, আমি আসাম পুলিশের বিভিন্ন শীর্ষ পদে কাজ করেছি। ঐগুলো থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ মোকাবিলায় সাহায্য করে থাকে।

সমগ্র রাজ্যে কোভিড সংক্রমণে বেশ বৃহৎ সংখ্যক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন । এই পরিস্থিতিতে রাজ্য তথা বরাক উপত্যকায় এই অতিমারির সংক্রমণ মোকাবিলা কতটুকু চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে আপনার

কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীরা সবসময়ই এক ভালনারেবল পজিশনে রয়েছেন। তবে, আমাদের রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ দেরিতে আসায় এর মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া গেছে, যার ফলে পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং ৭০০০০ কর্মী বিশিষ্ট শক্তিশালী এই বাহিনীর সবাইকে সংক্রমণ রুখতে বিস্তারিত গাইড লাইন তৈরি করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বরাক উপত্যকার একজন ব্যক্তিই রাজ্যের মধ্যে প্রথম কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। যাই হোক, স্বাস্থ্য দপ্তর অসামরিক বিভাগ এবং পুলিশ প্রশাসনের সম্মিলিত উদ্যোগে বরাক উপত্যকায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কম করা সম্ভব হয়েছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের প্রয়াসে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবসময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন। আসামে পুলিশের কোভিড আক্রান্ত কর্মীদের জন্য খানাপাড়ায় এক বিশেষ ব্লক নির্ধারিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি কাছাড় পুলিশ অবৈধভাবে পাচার করা বিদেশি বন্যপ্রাণী বাজেয়াপ্ত করেছিল। আর এটি তাদের একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।বন্যপ্রাণী চোরাচালানের জড়ে পৌঁছাতে পুলিশ বিভাগের এই বিরাট সাফল্য-অর্জন কতটা সাহায্য করবে? আপনি কি মনে করেন?

এই সাফল্যের মূলে ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টা। মায়ানমারে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বন্যপ্রাণী পাচারের বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছিল একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থা। চোরাচালানীরা মণিপুরের বিভিন্ন স্থান যেমন চুরাচাঁদপুরকে তাদের পাচার হওয়া পণ্যগুলির ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে যা অবশেষে বরাক উপত্যকা দিয়ে আসামে যাওয়ার পথ খুঁজে পায়। সম্প্রতি, মণিপুর পুলিশের সহায়তায় এক ভয়ঙ্কর রাইনো শিকারীকে আসাম পুলিশ মণিপুরের চুরচাঁদপুর জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। আমি মনে করি যে এ জাতীয় সম্মিলিত প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের অনাবৃত করতে সহায়তা করবে এবং রাজ্যে গভীর ভাবে শিকড় গেড়ে বসার আগে উপড়ে ফেলা যাবে।

কাছাড়ের আরো একটি বেদনাদায়ক বিষয় হলো মাদক দ্রব্য চোরাচালান। মুগ্ধজ্যোতি দেব মহন্ত পুলিশ সুপার হিসেবে এখানে এলে তিনি কয়েক কোটি টাকার অবৈধ চোরাচালান বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। মাদকদ্রব্য পদার্থের অপব্যবহারের বিষয়টি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে আপনি মনে করেন? এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?

মাদকদ্রব্যের পদার্থগুলো বেশিরভাগ মায়ানমার থেকে পাচার করা হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুলির মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে এটা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। মাদকদ্রব্য পাচার আমাদের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের ক্ষেত্র বলা যায় এবং এই সামাজিক কুফলের বিস্তার রোধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত সাপ্লাই চেইনটা এবং এর সঙ্গে জড়িত মূল খেলোয়াড়দের শনাক্ত করার ওপর ফোকাস করা হচ্ছে। ‘অ্যান্টিস্পাসোডিক’ ওষুধ এবং কফ সিরাপ বিক্রয়ের লাইসেন্স দেওয়ার দিকটি আরো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে করে সংগ্রহের উৎস গুলি চিহ্নিত করা যায় এবং লক্ষ্য স্থির করা যায়।

আরও একটা ধারণা কাজ করে যে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে চোরাই দ্রব্য পাচারের জন্য পাচারকারীরা কাছাড় ও বরাক উপত্যকাকে নিরাপদ প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করে। রাজ্যের ডিজিপি হিসেবে আপনার দায়িত্ব বিস্তৃত। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি এবং এর উন্নতি কিভাবে সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?

আন্তর্জাতিক সীমানা নিশ্ছিদ্র নয়, তার উপরে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত উৎসের অভাব। এসবই যুবকদের এক বিরাট অংশকে উৎসাহিত করছে এ ধরনের বহুমুখী চোরাচালানে নিজেদের জড়িয়ে ফেলতে।

নাগরিক সমাজের বিভিন্ন গ্রুপ এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে এইসব যুবকদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে। যাতে করে তারা একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা অর্জন করতে পারে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে একটা বিষয় খুব হাইলাইট হচ্ছে, সেটা হল মেঘালয় থেকে বরাক উপত্যকার মধ্য দিয়ে অবৈধ কয়লা পরিবহন। আপনার অবস্থান থেকে এই পরিস্থিতিকে কিভাবে দেখছেন? অন্য আর কার উপর বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব রয়েছে?

বনজ পণ্যের যে কোন অবৈধ পরিবহনের ব্যাপারটি অসম পুলিশ খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে। মেঘালয় থেকে বরাক উপত্যকার মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে কয়লা পরিবহনের অভিযোগের বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছিলেন এবং একই বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন করেছে। কয়লা কেলেঙ্কারির পুরো বিষয়টি এখন সিবিআই তদন্তের অধীনে রয়েছে এবং অসম পুলিশ সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে এই তদন্তে দোষীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে।

বরাক উপত্যকায়, বিশেষভাবে শিলচরে আমরা সম্প্রতি আঘাত করে পালানোর কয়েকটা কেস দেখেছি, যেখানে গাড়ি এবং চালককে ধরা সম্ভব হয়নি, অথচ ধীরে ধীরে কেসটার প্রাধান্য কমে যায়। আপনি কি মনে করেন যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের পার্থক্য আসতে পারে?

সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে কেবল যে অপরাধী শনাক্তকরণে ভূমিকা রাখবে তা নয়, এটি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি শক্তিশালী উপকরণ। আমার একবার বরাক সফরের সময় বড় বড় শহরগুলিতে যেমন শিলচর, করিমগঞ্জে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রযুক্তির সুবিধাগুলো পেতে হটস্পটগুলির যথাযথ শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় অঞ্চলে মানুষের নজরদারির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে পুলিশ কর্মকর্তারা যথেষ্ট চাপে রয়েছেন,কারণ কোভিড প্রটোকলগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের উপর রয়েছে। সারা দেশের মতো একই অবস্থা অসমেও। বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে পুলিশি নিষ্ঠুরতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আপনার কি মনে হয় যে পুলিশের বিরুদ্ধে এই সমালোচনা ন্যায় সঙ্গত? আপনার মতামত কি?

“জনহিতে এবং জনস্বার্থে” এই মটো নিয়ে কাজ করে অসম পুলিশ। আমাকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে আমি একটা ইকো সিস্টেম তৈরি করি, যেখানে পুলিশ ফোর্স তার নীতির জন্য গর্ববোধ করে এবং পরিষেবা প্রদানের মনোভাব বাহিনীর মধ্য থেকেই উৎপন্ন হয়, তাদের উপর চাপানো হয় না। লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা পুরো নজরদারি রেখেছি এবং সেটা চালিয়ে যাব। যাই হোক, এটি আমাদের বল প্রদর্শনের জন্য নয়,বরং আমাদের রাজ্যের মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা যদি লকডাউনের উল্লেখিত নির্দেশিকা পালন না করি কিংবা সেই অনুযায়ী কাজ না করি তাহলে তাতে আমাদের রাজ্যের লোকেদের চূড়ান্ত অপকার হবে এবং ওই লোকদের বর্তমানের এই অদেখা শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে পারবো না। আমরা যেমন আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লকডাউনের নির্দেশিকা পালন করতে কঠোর হই, ঠিক একইভাবে আমরা জনগণের সাহায্যের জন্য তাদের পাশে দাঁড়াই। আমাকে ব্যাপারটা গর্বিত করে, যখন আমি দেখি অসম পুলিশ গরিব এবং অভাবী মানুষের সাহায্যে প্রয়োজনীয় হাত বাড়িয়ে দেয়।

Comments are closed.