Also read in

২৬ আগস্ট থেকে ১০ দিনের জন্য বরাক উপত্যকায় সম্পূর্ণ লকডাউন, জানালেন মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণা

পুনরায় লকডাউনে যেতে চলেছে বরাক উপত্যকার তিন জেলা। রাজ্যের মুখ্য সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণা শনিবার রাতে খবরটি জানিয়েছেন। গুয়াহাটি থেকে ফোনে তিনি এব্যাপারে বলেন, “সম্প্রতি বরাক উপত্যকার তিন জেলায় পজিটিভ সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছে। তারই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বেশ কয়েকবার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে এবং প্রত্যেকবার লকডাউনের বিরুদ্ধে জনগণ মত দিয়েছেন। তবে এখন আর পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে নয়, তাই সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাবছি অন্তত দশদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব। এখনও এব্যাপারে লিখিতভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে লকডাউনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।”

এদিকে করিমগঞ্জের জেলাশাসক আনবামুথান এমপি তার ফেসবুক লাইভে কথাটি ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রথমে করিমগঞ্জের জনগণের উদ্দেশ্যে তার বার্তা পাঠান। তিনি বলেন, “পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। স্থানীয় জেলাশাসকদের সঙ্গে বিভিন্ন দিক নিয়ে মুখ্য সচিবের বৈঠক হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে করিমগঞ্জ, কাছাড় এবং হাইলাকান্দি জেলায় ১০ দিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হবে। এটা প্রথমদিকের লকডাউনের মত হবে, ওষুধ সহ প্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, তারা যেন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো এখনই কিনে রাখেন। এতে লকডাউনের সময় জিনিসপত্রের অভাবে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হবে না।”

অতীতে দুইবার কথা উঠেছিলো বরাক উপত্যকায় সম্পূর্ণ লকডাউন দেবে রাজ্য সরকার। সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জনগণের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জনগণের মতামত লকডাউনের বিপক্ষে থাকায় সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়। তবে সম্প্রতি উপত্যকার তিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কাছাড় জেলায় এই সংখ্যা ইতিমধ্যে পাঁচহাজার ছাড়িয়েছে। হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জে প্রায় একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংখ্যাটি। তার থেকেও চিন্তার বিষয় হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি। শুক্রবার শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এতেই সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আনলক ৩.০ এর আওতায় অবাধ যানবাহন চলাচল সহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, লকডাউন শিথিলের বিরুদ্ধে কোনও রাজ্যের সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এমন অবস্থায় রাজ্যের মুখ্য সচিবের সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকরী হবে এটা দেখার বিষয়।

Comments are closed.