কাল আসছে কবীরের মৃতদেহ , অপেক্ষায় শোকার্ত পরিবার
বিয়েতে রাজী না হওয়ায় প্রেমিকার হাতে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে মুম্বাইর থানে এলাকায় খুন হয় কাটলিছড়ার এক যুবক।। নিহত যুবকের নাম কবীর আহমেদ লস্কর ওরফে সাদু, বয়স -২৫, বাড়ি কাটলিছড়ার ধলাই মলাই দ্বীতিয় খন্ড এলাকায়। কর্মসংস্থানের জন্য বর্হিরাজ্যে গিয়ে এভাবে খুন হওয়ার খবরে বৃহত্তর ধলাই মলাই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুম্বাই পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যাঙ্গালুরুতে অভিয়ান চালিয়ে খুনি প্রেমিকা রুমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি জেরায় রুমা খুনের কথা কবুল করেছে বলে সংবাদ সুত্রে জানা গেছে। এদিকে গত সতেরো মার্চ খুন হওয়া কবীর আহমেদের মৃতদেহ আগামীকাল এসে পৌছাচ্ছে। বাইশ মার্চ রাতে মুম্বাই থেকে মরদেহ বিমানে গুয়াহাটি পৌছানোর পর সড়কপথে কাটলিছড়া নিয়ে আসা হবে বলে পারিবারিক সুত্রে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্মসংস্থানের জন্য বছর কয়েক আগে ব্যাঙ্গালুরু পাড়ি দেয় কবীর আহমেদ। সেখানে রুমা বেগম এবং তার স্বামী আনোয়ার হোসেন দের সাইকেলের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। একসময় রুমা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুদর্শন যুবক কবীর আহমেদের। মুম্বাইর থানে পুলিশের জেরায় ২৮ বর্ষীয়া রুমা জানায়, সে বিবাহিত হলেও কবীরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্বামী, সংসার ছেড়ে এলে কবীর তাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় । কিন্ত কবীর গত কয়েক মাস আগে ব্যাঙ্গালুরু ছেড়ে মুম্বাইতে চলে আসে। নিউ মুম্বাইর নেহেরুল এলাকার একটি সাইকেলের কারখানায় কাজে যোগ দেয়।
যথারীতি ষোল মার্চ সে ও মুম্বাইর থানের কবীরের ভাড়া ঘরে চলে আসে। কিন্ত সন্দেহজনক ভাবে বিয়েতে অস্বীকার করে কবীর। আর এতেই রাগান্বিত হয়ে সতের মার্চ রাতে কবীরের গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পাশাপাশি গোপনাঙ্গ কেটে দেয় রুমা। পাথর দিয়ে মুখে আঘাত করে মুখমণ্ডল থেতলে দেয় । এরপর ভোরের বিমানে ব্যাঙ্গালুরু চলে যায় সে। এদিকে খুনের খবর পেয়ে মুম্বাই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে এক যুবতীর আসা এবং বিমানে চলে যাওয়ার কথা।
যথারীতি পুলিশ ব্যাঙ্গালুরু ছুটে গিয়ে রুমা বেগমকে গ্রেফতার করে মুম্বাই নিয়ে আসে। সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, পুলিশি জেরায় রুমা বেগম খুনের কথা কবুল করেছে।
Comments are closed.