Also read in

প্যারাসিটামল বা এরিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ কিনলে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে, দেওয়া হচ্ছে নির্দেশ

করোনা সংক্রমনের লক্ষণ সহ অনেক লোক ঘরে বসে নিজে নিজেই চিকিৎসা করছেন, যা খুবই বিপদজনক। এটা ভবিষ্যতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। শহরাঞ্চলে ২৬ টি রেপিড টেস্টিং সেন্টার খোলা হয়েছিল, কিন্তু খুব কম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। “অনেক সময় গভীর রাত্রে আমাদের কাছে খবর আসে যে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী নিজে থেকেই মেডিকেল রওয়ানা হয়েছেন, এক্ষেত্রে বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”, জানান শিলচর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাক্তার ভাস্কর গুপ্ত।

এই ঘটনাবলী বিচার বিবেচনা করে ড্রাগস ইনস্পেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্যারাসিটামল বা এরিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ কিনতে গেলে ফার্মেসি গুলোকে ক্রেতার তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার প্রভৃতি তথ্য লিখে রাখতে হবে।

আগামী পরশু থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে জ্বরের সার্ভাইলেন্স হবে, যাতে করোণা লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসাহীন ভাবে ঘরে না থাকেন রোগীরা। তাছাড়া একটা অনলাইন ব্যবস্থা ও করা হচ্ছে যাতে ন্যূনতম কুড়িজন আবেদন করলে, ওদের ওখানে গিয়ে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হবে।

ডক্টর গুপ্ত আরো জানান, এখন থেকে রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাকে বাড়ি পৌছিয়ে দেওয়া হবে না, শুধু অন্য জেলার রোগীদেরকে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। জেলার ভেতরের রোগীকে নিজেদের ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে থাকা রোগীদের খরচ বহন করতে হবে নিজেদেরকেই। দারিদ্র্যসীমার উপরে যে সকল রোগী শিলচর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন, তাদেরকে কিছু খরচাপাতি নিজেদেরকেই বহন করতে হবে।

ডক্টর গুপ্ত আরো জানান,আজ সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত ১৮৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮২ জন রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং ৭ জন আরটিপিসিআর টেস্টে শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ জন রোগীকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ছুটি হয়েছেন ২৪ জন।

Comments are closed.