Also read in

কোভিড -১৯ ! প্রাণ হারালেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক অসীম দত্ত, বিষাদের ছায়া

বেশ কিছুদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক অসীম দত্ত। প্রায় এক বছর ধরে বাড়িতেই ছিলেন। সম্প্রতি ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়ার জন্য তার কোভিড পরীক্ষা করা হয়, এতে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। শনিবার শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং আইসিইউতে পাঠানো হয়। সোমবার সকাল ৬টা ৪০মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে সংবাদ মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তার স্ত্রী অদিতি দত্তরায় জানিয়েছেন, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার পর স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম চলাকালীন চাকরিতে যোগ দেন। গুয়াহাটিতে দীর্ঘ দিন কাটিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে শিলচরে আসেন এবং এখানেই বাকি জীবন কাটান।

তার একমাত্র কন্যা স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী। বাকি আত্মীয়-স্বজনরা প্রায় প্রত্যেকেই গুয়াহাটি বা ডিব্রুগড়ে রয়েছেন।

২০০৭ সালে বিটিএন চ্যানেলে যোগ দেন, সেই থেকেই তার সংবাদ জগতের সূত্রপাত। পরবর্তীতে প্রান্তজ্যোতি দৈনিক নব কলেবরে আত্মপ্রকাশের পর তিনি এতে যোগ দেন। তার দক্ষ লেখনি এবং রসবোধ সবাইকে মুগ্ধ করত। সংবাদ জগতে তিনি ছিলেন অনেকের কাছেই অভিভাবক স্থানীয়। তার উপস্থিতিতে নতুন সাংবাদিকরা আরো বেশি করে শেখার সুযোগ পেতেন।

প্রান্তজ্যোতি দৈনিকের কর্ণধার নিলয় পাল থেকে শুরু করে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি উত্তম কুমার সাহা, বিটিএন চ্যানেলের কর্ণধার মনীষ দাশ, বরিষ্ঠ সাংবাদিক বিকাশ চক্রবর্তী, পরেশ দত্ত সহ অনেকেই শোক ব্যক্ত করেছেন।

যেহেতু মৃত্যুর আগেই শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছিল, ফলে সম্পূর্ণ কোভিড প্রটোকলেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ডেথ অডিট বোর্ডের পক্ষ থেকে তার মৃতদেহ জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেখানে রাইসিং ইয়ুথ সোসাইটি সদস্যরা সেটি গ্রহণ করে শিলচর শ্মশান ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন। পরিবারের তরফে এতে যোগ দেওয়ার জন্য তার শ্যালক ইতিমধ্যে গুয়াহাটি থেকে রওনা হয়েছেন। তিনি পিপিই কিট লাগিয়ে এতে যোগ দেবেন।

Comments are closed.