দিনের আলোয় সদরঘাট সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন ৪৫ বছরের ব্যক্তি, অক্ষত উদ্ধারে স্বস্তি
দিনের আলোয় সদরঘাট সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। যদিও তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগে এক মহিলা সন্ধ্যারাতে ঝাঁপ দিয়ে ছিলেন, এখনও তার কোনও সন্ধান মিলেনি। এবার পাবলিক স্কুল রোডের বাসিন্দা ৪৫ বছরের ব্যক্তিটির ঝাঁপ দেওয়া নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিলচরকে রংপুরের সঙ্গে জুড়ে দিতে সদরঘাটে পাশাপাশি দুটো সেতু রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বা দিনের আলোয় যখন একের পর এক মানুষ ঝাঁপ দিচ্ছেন, তাহলে সেতুর সুরক্ষা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসন কেন পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না! এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে সেতুর রেলিং বেয়ে এক ব্যক্তিকে উঠতে দেখেন তারা, দৌড়ে এসে আটকানোর আগেই লোকটি নদীতে ঝাঁপ দেন। এতে এলাকায় চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়। নিচে নদীর কাছাকাছি থাকা অনেকেই জলে নেমে লোকটিকে ভেসে যাওয়া থেকে আটকাতে সমর্থ হন। কিনারায় একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের আধিকারিকরা তাকে উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীরা তাদের খবর দিয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষ প্রথমে ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তিটিকে নদীর তীরে নিয়ে আসতে সমর্থ হন। পুলিশের আধিকারিকরা খানিকটা অচেতন অবস্থায় থাকা লোকটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে; তারা এখন পাশে আছেন। ডাক্তাররা বলেছেন লোকটির শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক, ঝাঁপ দেওয়ার ফলে বাহ্যিক কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে তার মানসিক অবস্থা নিয়েও চিন্তা করতে হবে।
শোনা গেছে, আর্থিক অবস্থার জন্য মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। হয়তো এই কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আর্থিক এবং মানসিক অবস্থা থাকা অস্বাভাবিক নয়। লকডাউনে অর্থনীতি অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। তবে এর অর্থ এটা হতে পারে না যে, সমস্যার সম্মুখীন না হয়ে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করবেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় এবং সম্ভাব্য রাস্তাগুলো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হয়। কেউ আত্মহত্যা করলে তার পরিবারের সদস্যদের মানসিক যন্ত্রণা এবং সামাজিক অবস্থা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে বিনামূল্যে আত্মহত্যা-বিরোধী কাউন্সেলিং করা হয়, চাইলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও নিজেদের মানসিক অবস্থা উন্নত করা সম্ভব।
Comments are closed.