পুজো নিয়ে বিশেষ বৈঠক, বিসর্জনের জন্য একাধিক ঘাট খোলা রাখার পরিকল্পনা শিলচর পৌরসভার
পুজোর এসওপি এখনও পরিষ্কারভাবে ঘোষণা না হলেও শিলচর পুরসভা আগাম কিছু পরিকল্পনা করছে। এবার পুরবোর্ড নেই, ফলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা পুরো দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুমিত সত্যওয়ান শহরের জনগণকে নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করেন। বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করা হয়। পুজোর প্রায় ১০ দিন বাকি তবে এখনো পূজোর বিধিনিষেধ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কিছু কিছু পুজো কমিটি ইতিমধ্যে মন্ডপ বানাতে শুরু করে দিয়েছে আবার অনেকেই মানসিক ভাবে তৈরি থাকলেও কাজ শুরু করেন নি।
এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্তমূলক আলোচনার মধ্যে ছিল বিসর্জনের ঘাট পরিকল্পনা। কেউ কেউ বলেছেন সদরঘাট ছাড়াও মধুরাঘাট বা অন্নপূর্ণা ঘাটকে বিসর্জনের জন্য তৈরি করা হোক। এব্যাপারে সুমিত সত্যওয়ান তাদের বলেন, শুধুমাত্র ঘাট বৃদ্ধি করলেই হবে না, সুরক্ষা কর্মী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে একাধিক ঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া করানোর ক্ষেত্রে আমাদের সম্মতি রয়েছে। এতে এক জায়গায় জনসমাগম কম হবে এবং এলাকার মূর্তিগুলো এলাকায় বিসর্জন করাও সম্ভব হবে। সদরঘাট, মধুরাঘাট, অন্নপূর্ণাঘাট ছাড়াও যদি আরও সম্ভাবনা থাকে আমরা সেই বিষয়ে চিন্তা করতে পারি।
যেহেতু এখন পুরবোর্ড নেই ফলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আধিকারিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এতে জনগণের মনোভাব বোঝা নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হয়। বোর্ডের সদস্যরা এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন ফলে মানুষের চাহিদা সরাসরি জানতে পারতেন। যেহেতু পরিস্থিতি এখন প্রতিকূল এবং আমরা এব্যাপারে একেবারেই নতুন, ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করতে চাইছি।
এছাড়া পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে কিভাবে বিসর্জনের পুরো ব্যাপার সাজানো হবে। একটি পর্যাপ্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন যাতে এই পরিস্থিতিতে সুন্দরভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যায়।
পুজোর এসওপি নিয়ে সুমিত সত্যওয়ান বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি নিজস্ব নিয়মাবলী জারি করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সেটা আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। আমরা আশা করছি এই সপ্তাহেই বিভাগের পক্ষ থেকে এসওপি জারি করা হবে, আদেশ-নির্দেশ মতই আমরা উৎসবের পরো পরিকল্পনা সাজাবো।
Comments are closed.