Also read in

‘শাইকোকেন’ করোনা সারায় না, পজিটিভ ও ধরতে পারে না: স্পষ্টীকরণ রামকৃষ্ণ মিশনের

দুর্গাপুজোয় শিলচরে রামকৃষ্ণ মিশনে দর্শনার্থীর ভিড় হয় প্রচুর। বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবার কি হবে, সেটা অনুমানের বিষয়। এবার সরাসরি পুষ্পাঞ্জলি বা খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা নেই, তবে দুর্গাপূজায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘শাইকোকেন’। শিলচরে করোনা-নাশক কী একটা মেশিন এনেছে রামকৃষ্ণ মিশন, এমনটাই অনেকে ধরে নিয়েছেন। অনেকে আবার ভাবছেন, এই মেশিন করোনা পজিটিভ রোগীকে শনাক্ত করতে পারে।

জনগণের এই ভুল ধারণা দূর করতে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী গণধীশানন্দ মহারাজ জানালেন, “‘শাইকোকেন কোভিড’১৯ রোগ সারায় না, বা শনাক্ত ও করতে পারেনা “। মহারাজ জনগণকে কাল্পনিক বক্তব্যে বিশ্বাস না করতে অনুরোধ জানান। “আমাদের বেলুড় মঠ থেকে এই মেশিন বসানোর জন্য বলা হয়েছে, কারণ আমরা চাই ভক্তদের সুরক্ষার জন্য যতদূর সম্ভব প্রয়াস করতে। অনেকে নিজের অজান্তে এই ভাইরাস কাপড়চোপড়ে জলবিন্দুতে বহন করে চলেন। এই পরিস্থিতিতে মেশিনটি করোণা সংক্রমণ রোধে সহায়তা করবে, বন্ধ জায়গায় এটা কাজ করবে। এটা কোন অবস্থায়ই মেডিকেল অল্টারনেটিভ বা চিকিৎসা নয়”।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী রাজা বিজয়কুমার এই ‘শাইকোকেন’ মেশিনের উদ্ভাবক। কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনের শিশুমঙ্গল হাসপাতালে তা লাগানো হয়েছে। এর থেকে বিচ্ছুরিত ইলেকট্রন কণা নিজের পরিসীমায় করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে পেলেই নিঃশেষ করে দেয়। চারটি শাইকোকেন কিনে নিয়েছে শিলচর মিশন৷ বেলুড় মঠ নিয়েছে ২০টি। দেরাদুন মিশনেও লাগানো হচ্ছে এই করোনা জীবাণু-নাশক মেশিন।

Comments are closed.