Also read in

এনইইটি ২০২০ জাতীয় রেংকিংয়ে অসমের দ্বিতীয় সেরা করিমগঞ্জের স্বপ্ননীল একজন দক্ষ চিকিৎসক হতে চায়

মাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা তালিকায় ছিল করিমগঞ্জের স্বপ্ননীল ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞানের সবগুলো বিষয়ে রাজ্যের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও সেরা দশে স্থান পায়নি, শুধুমাত্র ইংরেজি এবং ঐচ্ছিক ভাষায় পাওয়া নম্বরের জন্য। তবে এতে একেবারেই দমে যায়নি উপত্যকার প্রতিভাবান তরুণ। জাতীয় স্তরের মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় শুধুমাত্র বরাক উপত্যকার সেরা নম্বর পাইনি, সারা আসামে তার রেংকিং দ্বিতীয়। বরাক উপত্যকার ইতিহাসে এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খুব হাতেগোনা। তবে এই প্রাপ্তি নিয়ে উচ্ছসিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেনা তরুণ প্রতিভাটি। তার স্বপ্ন, দেশের সেরা মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করবে এবং একজন দক্ষ ডাক্তার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে। ভালো ডাক্তার হওয়ার পর বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে চায়না সে, দেশের মাটিতে দেশের মানুষের সেবা করবে, এটাই তার লক্ষ্য।

মাধ্যমিকেও বিজ্ঞানে রাজ্যের সেরা নম্বর পেয়েছিল স্বপ্ননীল। ডাক্তারি পড়ার জন্য জাতীয় স্তরে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (এনইইটি) পরীক্ষা পাস করতে হয় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে। ১৬ অক্টোবর এনইইটি ২০২০-এর ফলাফল ঘোষণা হয়। ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় স্বপ্ননীল ভট্টাচার্য্য পেয়েছে ৬৭৬, জাতীয় স্তরে তার রেংকিং ৮২২। প্রথমদিকে জাতীয় স্তরের রেংকিং ঘোষণা হলেও রাজস্থানের রেংকিং কিছুদিন পরে ঘোষণা হয়, এটাই নিয়ম। শনিবার অসমের তালিকা ঘোষণা হয় এবং এতে দ্বিতীয় স্থান দখল করে স্বপ্ননীল ভট্টাচার্য। প্রথম স্থানে রয়েছে শিবানুজ বড়কটকি, তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০, জাতীয় স্তরে রেংকিং ১০৩।

বরাক বুলেটিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্বপ্ননীল বলে, “অবশ্যই এই রেংকিং পাওয়ায় আনন্দিত, তবে একে আমি শুধুমাত্র যাত্রার শুরু বলে ধরে নিচ্ছি। অনেক দূর এগোতে হবে, অনেক লড়াই এখনও বাকি। ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরের কাউন্সেলিংয়ে আবেদন করেছি। বিএইচইউ এবং ভুবনেশ্বর এমসে আবেদন করেছি। যেখানেই সুযোগ পাই ভর্তি হব। রাজ্যের সেরা দুইয়ে নাম থাকা আমার কাছে গর্বের বিষয়। জীবনে একজন দক্ষ ডাক্তার হতে চাই।”

যারা এধরনের ভালো রেংকিং পায় এবং দক্ষ ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে, তারা প্রায়ই বিদেশের বড় বড় চিকিৎসালয়ে চলে যায়। এব্যাপারে স্বপ্ননীলের বয়ান, “আপাতত আমি নিজের পড়াশোনা নিয়েই মনোনিবেশ করতে চাই। ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের জন্য বিদেশ চলে যাব, এমনটা আমার স্বপ্ন নয়। ভারতবর্ষে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনও অনেক বেশি উন্নত হওয়া বাকি। আমি এই প্রক্রিয়ায় নিজের যোগদান দিতে চাই।”

Comments are closed.