বিদেশি মোগলের বংশধররাই পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেছে, এদের সঙ্গে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মতো ব্যবহার হওয়া উচিত: দিলীপ পাল
শিলচরের কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার এআইইউডিএফ সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমলের উপস্থিতিতে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান হচ্ছে বলে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সারা রাজ্যের বিজেপি নেতারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এর নিন্দা জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য তুলে ধরে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেছেন, “যারা ভারতবর্ষের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেছে, আদতে এরা বিদেশি মোগলদেরই বংশধর। একসময় তারা মিঁয়া কবিতার প্রচার করেছে। সম্প্রতি মিঁয়া মিউজিয়ামের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। এভাবে চলতে চলতে একসময় তারা মিঁয়া ল্যান্ড দাবি করে বসবে। এই দাবির শেষ নেই, তবে তারা আদতে দেশদ্রোহী। দেশদ্রোহীদের কাছে দেশের সম্মান খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর নিদর্শন তারা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখিয়েছে, বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তারা যে থালিতে খায় সেখানেই ছেদ করে, বিশ্বাসঘাতকতা তাদের স্বভাবে রয়েছে। তাদের জব্দ করতে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ যে পন্থা অবলম্বন করেছে, ভারতবর্ষকেও একই পথে এগোনো উচিত।”
এআইইউডিএফ সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমলের দাবি, পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়নি তার দলের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেলে শিলচর রাজিব ভবনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দলের কোনও সদস্য বা সমর্থক পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়নি। এদিন দলের বিভিন্ন স্থানীয় নেতারা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। সর্মথকরা তাদের নাম ধরে জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছেন। আমার দলের সদস্য আজিজ খানের সর্মথকরা তার নাম ধরে জিন্দাবাদ বলেছেন। সেটাকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সর্মথকরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে আমাদের বদনাম করতে চাইছে। এটা পুরোপুরিভাবে পরিকল্পিত, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নিউজ চ্যানেলে প্রথমবার এটি দেখানো হয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একইভাবে এর প্রচার করছেন। তার এই প্রচারে বোঝা যায় তিনি আমাদের নিয়ে কতটা আতঙ্কিত রয়েছেন। সময় সব কিছুর উত্তর দেবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”
এদিকে কাছাড় জেলা বিজেপির তরফেও পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৌশিক রাই বলেন, “কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ জোট এখনও ঘোষণা হয়নি। অঘোষিত জোটের নাম নিয়ে প্রথমবার যখন বরাক উপত্যকায় এলেন বদরুদ্দিন আজমল, তাতেই পাকিস্তান জিন্দাবাদ। ভাবা যায়, তারা ক্ষমতায় এলে বরাক উপত্যকার কি হাল হবে। যদিও কংগ্রেসের তরফে জোট নিয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি, তবে বদরুদ্দিন আজমল রাজিব ভবনে অনুষ্ঠান করছেন। রাজিব ভবনকে একপ্রকার কংগ্রেসের কার্যালয় বললে ভুল হবেনা। তারমানে তারা একই নৌকায় চলেন এবং দুই পক্ষই দেশদ্রোহিতাকে সমর্থন করে।”
জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সকালে একটি মিছিল বের করা হবে। উল্লেখ্য শনিবার আকসার ডাকা বনধ রয়েছে, এই বনধ সমর্থন করছে না বিজেপি। উল্টো বদরুদ্দিন আজমলের বিরুদ্ধে বিরাট মিছিল বের করছে।
Comments are closed.