Also read in

প্রতীয়মান হচ্ছে সীমানার পিলার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, মিজোরাম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে জানালেন জেলা উপায়ুক্ত

গতকাল কাছাড় জেলার উপায়ুক্ত কীর্তি জাল্লি ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার, কাছাড় সৌম্য দেব চৌধুরী এবং বনবিভাগের অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে আসাম মিজোরাম সীমান্তে আইটলাং এলাকা পরিদর্শন করেন; উদ্দেশ্য ছিল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা।

সীমান্তের যে জায়গায় আন্তঃরাজ্য পিলার বসানো ছিল, ঐ স্থান মিজোরাম কর্তৃপক্ষ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়ে একটা চেক গেট বসিয়ে দিয়েছে। “আমাদের বলা হয়েছে যে কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সেখানে ওরা কোভিড পরীক্ষা করছে”, জানালেন ডিএফও চৌধুরী ।

কাছাড় জেলার ঐ প্রতিনিধিদল রেংটি পাহাড় ধরে সুদীর্ঘ পাহাড়ি রাস্তায় পায়ে হেঁটে আইটলাং পৌঁছান। কাছাড় জেলার উপায়ুক্ত কীর্তি জাল্লি জানালেন, ” প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সীমান্তে থাকা পিলার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঐ স্থানে একটা স্কুল আছে, যা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সেখানে আরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবা হচ্ছে”। উপায়ুক্ত মহোদয়া আরো জানান, ” আন্তঃরাজ্য সীমান্তের পিলার আবার বসানোর প্রয়োজন রয়েছে। ২০১২ সালের মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উভয় সরকার মিলে সীমানার খুটি বসানোর কথা। তাই ব্যাপারটা সরকারকে জানানো হবে।”

উপায়ুক্ত স্পষ্ট করে জানান, পুরো এলাকা কাছাড় জেলার প্রশাসনের অধীন । “কি করে সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসন বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট আসাম সরকারের কাছে পাঠানো হবে।”

 

 

ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার চৌধুরী জানান, “এটা আগ্রাসনের প্রথম ঘটনা নয়। ২০০৫ সালে এবং তার পরেও অনেকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রত্যেকবার বনবিভাগের তরফ থেকে পর্যবেক্ষণ করে আবার সীমান্তে খুটি বসানো হয়েছে।”

প্রশাসনের তরফ থেকে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে যে, ঐ এলাকাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে আরক্ষী মোতায়েন করা হবে। ডিসি এবং ডিএফও পরিদর্শনকালে স্থান গুলি চিহ্নিত করে রেখেছেন।

Comments are closed.