Also read in

টিকিট তো দূর অস্ত্, আমি থাকতে রুমি নাথ বিজেপির সদস্য পদও পাবেন না, বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

কিছুদিন আগে কংগ্রেস দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক রুমি নাথকে। এর আগে থেকেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-ঘেষা কর্মকাণ্ডের প্রচার করেছিলেন। পাশাপাশি বড়খলার প্রত্যেক এলাকায় প্রায় দুই বছর ধরে তা চলছে। অনেকেই কানাঘুষো করছেন হয়তো তিনি এবার বড়খলায় বিজেপির প্রার্থী। তবে সেই গুড়ে বালি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি থাকতে রুমি নাথ বিজেপির প্রার্থীত্ব তো দূর, দলের সদস্যপদও পাবেন না।

তিনি সম্প্রতি গুয়াহাটিতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি থাকতে রুমি নাথ বিজেপির সদস্যপদ পাবেন না।” এতে গত দুই বছরে গড়ে ওঠা সব জল্পনা-কল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে।

বড়খলা বিধানসভাএলাকায় দুইবারের বিধায়ক রুমি নাথ এখনও অনেকটাই জনপ্রিয়। এলাকার নানান অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মানুষের বাড়িতে ছোটখাটো নেমন্তন্ন, সবকিছুতেই তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সাধারণ মানুষের নজর কাড়ে। বিভিন্ন খেলার অনুষ্ঠানে তিনি মাঠে নেমে যান, কেউ মারা গেলে পাশে দাঁড়িয়ে যান। অবশ্যই জনপ্রতিনিধি এবং ভোট প্রার্থীদের প্রত্যেকের মধ্যেই এই স্বভাব দেখা যায়। বড়খলায় তার অনুরাগীরা বেশ উচ্ছ্বসিত, তারা অনেকেই প্রত্যয়ী, রুমি এবারের টিকিট পাচ্ছেন।

একসময় বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও দল বিরোধী কার্যকলাপ করেন এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হন। প্রেমে পড়ে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে যান, ধর্মান্তরণ হয়, ইসলাম ধর্ম নিয়ে নাম পর্যন্ত পাল্টে যায়। পরবর্তীতে গাড়ি চুরির মামলায় জড়িত হয়ে জেল পর্যন্ত খাটেন। তবে তার প্রত্যাবর্তন হয়, ইসলাম ছেড়ে আবার হিন্দুধর্ম নেন। এরপর থেকে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী হয়ে সাত্ত্বিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। বাড়িতে নরেন্দ্র মোদির বিরাট ছবিও রয়েছে। রয়েছে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর সঙ্গে তার একটি ফটো। কংগ্রেসের নামমাত্র সদস্য থাকলেও দলের কোনো কার্যকলাপে তিনি যোগ দিতেন না। একসময় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করার পর তার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা-কল্পনা আরো বেড়ে যায়।

নির্বাচনের ছয়মাস আগে দলের রাজ্য সভাপতির এই বয়ানে আপাতত রুমি নাথের বিজেপির ভক্তরা আশাহত হবেন। তবে তার বিরুদ্ধে বিজেপি দলের অনেকেই প্রকাশ্যে আওয়াজ তোলেন। তারা রঞ্জিত দাসের এই বয়ানে অত্যন্ত উৎফুল্ল।

Comments are closed.