Also read in

ওভারলোড থাকায় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারুতি অল্টোকে ধাক্কা দিয়েছিল; মেধাবী পাঁচ ছাত্রের মৃত্যুতে শোক এনসি কলেজের

কালাইন লক্ষীপুর জাতীয় সড়কে দিনের আলোয় পাঁচজন কলেজপড়ুয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর এলাকায় জনরোষ গড়ে উঠেছে। ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর স্থানীয় বিধায়ক অমর চাঁদ জৈন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই জনরোষের শিকার হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ স্থানীয় বিধায়কের আগে এসে এলাকা পরিদর্শন করেছেন, এর অর্থ কি দাঁড়ায়? এলাকাবাসীর প্রাণের মূল্য বিধায়কের কাছে নেই? একসময় বিধায়ককে সুরক্ষা দিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে বাধ্য হয় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওভারলোড থাকা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে মারুতি অল্টো গাড়ির দিকে ধাক্কা দিয়েছিল, এতেই পাঁচ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।ঘটনার অনেকক্ষণ পরও মৃতদেহ রাস্তায় রেখে এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। এটা ঘন্টা বন্ধ থাকে রাস্তা। শেষে খুলে দেওয়া হয় অবরোধটি এবং মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাঁচ নিহত ছাত্রেরা হচ্ছে, গুমড়া এলাকার আরিফ আহমদ ও গোবিন্দ বৈষ্ণব, কালাইনের ধূমকরের মনজুর আহমদ, জালালপুরের জাফর হুসেন বড়ভূঁইয়া এবং গুমড়া পাইকানের সলমন আলম চৌধুরী।

নবীনচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বিএসসি প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। অত্যন্ত মেধাবী এবং মনোযোগী ছাত্র তারা, একসঙ্গে গাড়ি করে কলেজে আসত এবং কলেজ শেষে সেই গাড়িতেই বাড়ি ফিরে যেত। তাদের ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল ছিল। এদিন দুপুর একটায় তাদের ক্লাস শেষ হয় এবং রোজকার মত বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল ছাত্ররা। তবে রাস্তায় তাদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অধ্যক্ষ সহ কলেজের অধ্যাপকরা। তারা বলেন, “আমরা অত্যন্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকা পাঁচ পড়ুয়াকে হারিয়েছি, গোটা সমাজের ক্ষেত্রে এই ঘটনা একটি বড় ক্ষতি। আমরা চাই প্রশাসন এবার সজাগ হোক এবং ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিক।”

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে, তার সমস্ত নথি পত্র যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া কিভাবে এবং কেন ওভারলোডেড ট্রাক নিয়ে এত দ্রুত গতিতে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জেলা দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ছাত্রদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Comments are closed.