ডি এস এ আয়োজিত নারায়ন পাল স্মৃতি প্রাইজমানি সুপার ডিভিশনে ঘুরে দাঁড়ালো ইন্ডিয়া ক্লাব। শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে হেরেছিল তারা। তবে রবিবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ইউনাইটেড ক্লাবের বিরুদ্ধে এক দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল তারা। এদিন ইন্ডিয়া ক্লাব ৪৮ রানে হারিয়ে দেয় ইউনাইটেডকে। এর সুবাদে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। উল্টোদিকে, পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে ইউনাইটেড। লিগে এটাই ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দের শেষ ম্যাচ। যদিও অংকের হিসাব বলছে টাউন ক্লাব ও ইন্ডিয়া ক্লাবের সঙ্গে ইউনাইটেডও সেমিফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছে। এবার চতুর্থ স্থানটির জন্য লড়াই করবে ইটখোলা এসি ও যোগাযোগ সংঘ।
সকালে ইউনাইটেড টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের বোলাররা কিন্তু নিজেদের দায়িত্ব খুব ভালোভাবেই পালন করেন। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৩৭.১ ওভারে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইন্ডিয়া ক্লাব। অথচ একটা সময় তাদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৩৪। সেখান থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইন্ডিয়া ক্লাবের ব্যাটিং। তারা শেষ পাঁচ উইকেট হারায় কেবল ৭ রানে। মিডল অর্ডারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন রেহান জমিল মজুমদার (৪১) ও ইকরামুল আলী (৪৮)। মূলত এই দুইজনের জন্যই একটা স্কোর খাড়া করতে পেরেছে ইন্ডিয়া ক্লাব। বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ মোশাররফ ১৮ ও প্রশান্ত কুমার ২৬ রান করেন। দারুণ বোলিং করেন অফস্পিনার সুকান্ত দে (৪-১৮) ও ফজলুর রহমান (৩-১৩)। এছাড়া প্রদীপ সরকার নেন দু উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে ২৮ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ইউনাইটেড। ওয়েসিস এর বিরুদ্ধে গত ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান প্রদীপ সরকার। ইন্ডিয়া ক্লাবের বিরুদ্ধেও দারুন ছন্দে ছিলেন তিনি। সত্যি কথা বললে প্রদীপ একাই কুম্ভের মতো লড়াই করেন। ডানহাতি ওপেনার খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস (৫১)। তবে বাকিরা ব্যর্থ। টানা দুই ম্যাচে দুটি অপরাজিত অর্ধশত রানের ইনিংস খেললেও এদিন ব্যর্থ হন রাজু দাস। তিনি খাতাই খুলতে পারেননি। সুকান্ত দে করেন ১৬। দুর্দান্ত বোলিং করেন বাঁহাতি স্পিনার রুদ্রজিত ডেকা। তিনি শিকার করেন ছয়-ছয়টি উইকেট। তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল, ৮-১-২৯-৬। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন চন্দ্রদ্বীপ দাস (৩-২১)। দলের অষ্টম উইকেট হিসেবে আউট হন প্রদীপ। এর সঙ্গেই ইউনাইটেডের হারও নিশ্চিত হয়ে যায়।
Comments are closed.