Also read in

সড়কপথে বাড়িতে ফিরছে ইশতিয়াক রসুলের মৃতদেহ, শিলচরেই হবে শেষকৃত্য

মরণাপন্ন অবস্থায় তড়িঘড়ি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৩৩ বছরের ইশতিয়াক রসূল মজুমদারকে। মানবিকতার খাতিরে প্রথমবার শিলচর শহরে গ্রিন করিডোর গড়ে তোলা হয়, ২০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয় রোগীকে। দুর্ভাগ্যবশত শেষরক্ষা হয়নি এবং বিমানেই মৃত্যু হয় যুবকটির। তিনি কোভিঢ পজিটিভ ছিলেন, ফলে তার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয় পরিবারকে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেক কঠোর নিয়ম রয়ে গেছে। তবে উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়ের সহায়তায় মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার অনুমতি পাওয়া গেছে। এবার সড়কপথে খুব সাবধানে শিলচরে নিয়ে আসা হবে মৃতদেহটি, পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা খবরটি জানানো হয়েছে।

পরিবারের তরফে ডাঃ আনিস রসুল মজুমদার জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে ইশতিয়াক রসূলের মৃত্যু হওয়ার পর কলকাতায় আমরি হাসপাতালে মর্গে মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা হয়। যেহেতু তিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন, সাধারণ পদ্ধতিতে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। খবর পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, সাংসদ রাজদীপ রায় এবং প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তারা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি আধিকারিক এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই রাজ্যের এক মন্ত্রী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। পুলিশের তরফেও খুব সহজে পুরো প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়। যেসব নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে তাড়াতাড়ি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। হয়ত সাধারণ ক্ষেত্রে এমনটা হত না, তবে কঠিন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই মানবিকতার পরিচয় দেন।

পরিবারের ছেলের মৃত্যুর খবরে প্রত্যেকে শোকাহত, তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা সেটা পরিষ্কার ছিল না। ফলে বৃহস্পতিবার প্রায় প্রত্যেকেই বিমানে কলকাতা পৌঁছে যান, এর মধ্যে রয়েছেন মৃত ইশতিয়াক রসুলের মা, বাবা, কাকা সহ অন্যান্যরা। তবে শেষমেষ যখন জানা যায় মৃতদেহ জানাজার জন্য শিলচরে আনা হবে, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তারা আবার ফিরে আসবেন। পরিবারের যুবক সদস্যরা গাড়িতে করে মৃতদেহ নিয়ে রওনা দেবেন এবং বাকিরা বিমানে বাড়ি ফিরে আসবেন। শিলচরে নিয়ে এলেও কোভিড প্রটোকলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে, এমনটাই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

Comments are closed.