শীতের রাতে বরাকের জলে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ অন্নপূর্ণা ঘাটের যুবতী
অন্নপূর্ণা ঘাট সংলগ্ন যে এলাকায় নতুন সেতুর কাজ হচ্ছে তার পাশেই জলে ঝাঁপ দিলেন এলাকার এক যুবতী। পরিবার সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় কাজ করা কিছু লোক জানান এক যুবতী বরাকের জলে ঝাঁপ দিয়েছেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে খোঁজার চেষ্টা করলেও যুবতী তলিয়ে যায়। এরপর সুরক্ষা বাহিনী এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, তারা এলাকায় আসেন, কিন্তু রাতের অন্ধকারে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোরের আলো ফুটতেই এসডিআরএফ বাহিনী আবার তাকে সন্ধান করতে শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুবতীর কোনও হদিস মেলেনি।
যুবতীর নাম ঝুমকি চৌধুরী, বয়স ২৭ বছর। বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পীযূষ রঞ্জন চৌধুরীর কন্যা তিনি। তিন ভাই এবং মা-বাবার সঙ্গে অন্নপূর্ণা ঘাট সংলগ্ন বাঁধের পাশেই এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি স্নায়ুজনিত রোগে ভোগেন, ফলে আর পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি। নানা ধরনের সমস্যায় ধীরে ধীরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের লোকেরা তাকে সুস্থ রাখার এবং মন ভালো রাখার অনেক চেষ্টা করেছেন। তবে মঙ্গলবার রাতে খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নদীর পাশে গিয়ে জানা যায় তিনি জলে ঝাঁপ দিয়েছেন।এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এসডিআরএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাতের বেলা এলাকায় কিছু লোক মাছ ধরার কাজে ছিলেন, অন্ধকার হলেও সেতুর কাজের জন্য এলাকায় কিছুটা আলো ছিল। সেই আলোয় তারা দেখতে পান এক যুবতী দৌড়ে এসে জলে ঝাঁপ দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে খবর দেওয়া হয় এবং তারাও খোঁজার চেষ্টা করেন কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এবার বাহিনীর লোকেরা রেস্কিউ বোট নিয়ে যুবতীর সন্ধান করছেন এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন ঘাটে খবর দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.