Also read in

বিজেপির বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের দামামা বরাক থেকেই, ১১ জানুয়ারি শিলচর আসছেন জেপি নাড্ডা

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রচারের দামামা বরাক উপত্যকা থেকেই বাজিয়েছিল বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর সফর দিয়ে সেটা শুরু হয়। এই ধারা বজায় রেখেই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের দামামা আক্ষরিক অর্থে বরাক থেকেই বাজাতে চলেছে শাসক দল। ১১ জানুয়ারি শিলচর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘বিজয় সংকল্প সমাবেশ’ নামে বিরাট সভা আয়োজন করেছে জেলা বিজেপি। এতে উপস্থিত থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা, রাজ্যিক সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাশ, মূখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল, নেডা চেয়ারম্যান ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ অন্যান্যরা। আরও একজন বড় মাপের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। কাছাড় জেলায় বিজেপি এবার সাতটি আসনে নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার লক্ষ্য প্রচারে নামছে এবং এই সভা এরই অংশ।

জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পুরকায়স্থ বরাক বুলেটিনকে খবরটি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‌”এই সভাকে নির্বাচনী প্রচারের রণডঙ্কা বাজানোর সঙ্গে তুলনা করা যায়। রাজ্যে বিজেপির ১০০+ লক্ষ্যে যে প্রচার হবে এর আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত হচ্ছে এই সভা। রাজ্য বিজেপি বরাক উপত্যকাকে কতটুকু গুরুত্ব দেয় এটাও এর মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে। আপাতত জেপি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের যোগদানের কথা বলা হয়েছে তবে আরেকজন বরিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসতে পারেন। কাছাড় জেলায় এবার বিজেপি সবগুলো আসনে জয়ী হতে চলেছে। দলের তৃণমূল স্তরে কর্মীরা এত ভালো কাজ করছেন যে সাধারণ মানুষ বিজেপি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল যেসব প্রকল্প জনগণের স্বার্থে চালু করেছেন তার সুফল একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিজেপির কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সভার মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনী প্রচার এর পরিকল্পনাও পরিষ্কার হবে।”

তবে জেপি নাড্ডার সফরের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উন্মোচন করতে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকারি ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন আগামীতে তারা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সর্বানন্দ সোনোয়ালকেই পছন্দ করছেন। তিনি কথায় কথায় বলেছিলেন, “সনোয়ালকে আবার মুখ্যমন্ত্রী করুন তাহলে বরাকের বাকি দাবিগুলো পূরণ হবে।”

উল্লেখ্য, কাছাড়ের সাতটি আসনে বিজেপির অনেক শক্ত দাবিদার রয়েছেন। এরমধ্যে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীরা-বিধায়কও নাম লিখিয়েছেন। দলের ভেতরে এবং বাইরে বিজেপির প্রার্থী হবেন এনিয়ে নানান জল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাস এবং শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনাইয়ে আমিনুল হক লস্করকেই প্রার্থী করা হবে। তবে দলের তরফে এমনটাও ইঙ্গিত রয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়া বিধায়কদের মধ্যে কয়েকের নাম কাটা যেতে পারে, সেখানে নতুন মুখ আনবে বিজেপি। ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিরাট সভায় হয়ত অনেকের নাম পরিষ্কারভাবে উঠে আসবে।

Comments are closed.