কৃষি আইনের বিরোধিতা শিলচরে ও, ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে রাঙিরখাড়ি পর্যন্ত
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিলচরে ও আজ এক প্রতিবাদী মিছিল দেখা গেলো শহরের সড়কে । শ্রমজীবী মানুষের এই মিছিল শিলচর, অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে শুরু হয়ে রাঙিরখাড়ি পর্যন্ত যায়। আগের ঘোষণা অনুযায়ী ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এই প্রতিবাদী মিছিলে ট্রাক্টর কেও শামিল করা হয়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিশাল লাঙ্গল নিয়ে এক ব্যক্তি আর ছিল ট্রাক্টর। ‘আজকে প্রজাতন্ত্র দিবসে শপথ নেওয়া হোক, দেশ বাচাও কৃষক বাঁচাও’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে শিলচরের সড়ক। মিছিলকারীদের হাতে জাতীয় পতাকা এবং লাল পতাকা ছিল। কয়েকদিন আগে ও শাসক দলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, আসামে কৃষি আন্দোলনের কোনো প্রভাব নেই ।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের সূত্রপাত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন পাশের পর। যা তিনটি বিলের উপর দাঁড়িয়ে। প্রথমটি ফারমার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) বিল, ২০২০ (Farmers Produce Trade and Commerce ,Promotion and Facilitation Act)। দ্বিতীয়টি, দ্য ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন) এগ্রিমেন্ট অব প্রাইস অ্যাসিওরান্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল, ২০২০ (The Farmers Empowerment and Protection Agreement Act) এবং তৃতীয়টি হল এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা অত্যাবশ্যক পণ্য আইন (The Essential Commodities Amendment Act)। এই তিনটি বিলের ফলে মান্ডির (Mandi) বাইরে কৃষি থেকে আয়ের কোনও উপায় নেই রাজ্যের হাতে। অত্যাবশ্যক হয়েও চাল, ডাল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ আর আলু অত্যাবশ্যক পণ্য থাকল না। রাজ্যের হাতেও বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনও অধিকার থাকল না। পাশাপাশি মান্ডির বাইরে কৃষকরা কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গেও চুক্তি করতে পারে।
আর এই নিয়েই আন্দোলন শুরু হয় নভেম্বরের শেষ থেকে। দিল্লিতে ও পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙ্গে আন্দোলন চলছে । প্রশাসনের তরফ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে মিছিল কে শান্ত করার প্রচেষ্টা হচ্ছে।
Comments are closed.