বদরপুরেই ভেসে উঠলো বরাকে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রীর মৃতদেহ
রবিবার বরাকের জলে তলিয়ে গিয়েছিল বদরপুরের সেন্ট জোসেফ আবাসিক স্কুলের ১১ বছর বয়সের এক ছাত্রী। যেখানে সে ডুবেছিল প্রায় সেই এলাকায়ই তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোমবার শেষ রাতে প্রায় ভোর চারটে নাগাদ বদরপুরের মিশন রোড ঘাটে ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ এবং এসডিআরএফ’র দল মিলে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং সেটা ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রিয়া এস পিরাথ নামের মেয়েটি হাইলাকান্দি আলগাপুর পাতলাতলা পুঞ্জীর বাসিন্দা। বদরপুরের সেন্ট জোসেফ আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করত। রবিবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বরাক নদীর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল এবং সেখানে পা পিছলে পড়ে যায়। এলাকার এক ব্যক্তি সেটা দেখে জলে ঝাঁপ দেন এবং তিন ছাত্রীকে বাঁচাতে সমর্থ হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রিয়া এস পিরাথকে বাঁচানো যায়নি। তাকে খুঁজতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক আনবামুথান এমপি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জেলা জকিগঞ্জের সাব-ডিভিশনাল অফিসারের কাছে চিঠি লিখে মেয়েটিকে খোঁজার অভিযানে সাহায্য করতে আবেদন জানিয়েছিলেন জেলাশাসক।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি এসডিআরএফ বাহিনী। তবে এবার প্রশ্ন হচ্ছে, যে এলাকায় মেয়েটি জলে তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় একই এলাকায় তার মৃতদেহ ভেসে উঠেছে। তাহলে এসডিআরএফ বাহিনীরা দিনের আলোয় খুঁজে তাকে কেন পেলেন না। একই অবস্থা হয়েছিল কিছুদিন আগে শিলচরের অন্নপূর্ণা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তলিয়ে যাওয়া মেয়েটির ক্ষেত্রেও। তাকে খুঁজে পায়নি এসডিআরএফ বাহিনী এবং পরে এলাকাবাসীরা মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিলেন।
রিয়া এস পিরাথ খাসিয়া সম্প্রদায়ের মেয়ে। সে ডুবে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বদরপুর এসে লাগাতার তাকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।এবার শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্তের পর মৃত দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Comments are closed.