বহিস্কৃত রুমিকে টিকিট, দল ছাড়ছেন সুস্মিতা, ইস্তফাপত্র নিয়ে সোনিয়ার দরবারে
দল থেকে বহিষ্কৃত রুমি নাথকে এবার নির্বাচনে বড়খলায় প্রার্থী করছে কংগ্রেস, এটা মেনে নিতে পারেননি প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব, তাই দলের বৈঠকে বসেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এছাড়া সোনাই এবং কাটিগড়া আসন এআইইউডিএফকে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে টানা প্রতিবাদ করেছেন সুস্মিতা, শেষমেষ হাল ছেড়েছেন এবং হতাশ হয়ে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; যদিও তার ইস্তফা গৃহীত হয়নি। এবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন সরাসরি দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিতে।
গুয়াহাটি থেকে কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, “সুস্মিতা দেব বিভিন্ন কারণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং দল থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তার ইস্তফা এখনো গৃহীত হয়েনি। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, আমরা এখনো অপেক্ষায় রয়েছি, দেখা যাক শেষমেষ কি দাঁড়ায়।”
সুস্মিতার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, তিনি সিট ভাগাভাগি নিয়ে লাগাতার ভিন্ন মত রেখে আসছিলেন। এছাড়া বড়খলায় তার পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন পাপন দেব। প্রদেশ কমিটি একসময় তার কাছে জানতে চেয়েছে, শিলচরে তমাল চাই, না বড়খলায় পাপন চাই? সুস্মিতা বলেছেন, “দলের আদর্শ সামনে রেখে যোগ্য প্রার্থী নিয়ে লড়াই করতে হবে। দলের এক দাবিদার অন্য দাবীদারের শত্রু নন, মূল শত্রু হচ্ছে বিজেপি এবং নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থীকে জয়ী করানোই হচ্ছে শেষ কথা।”
গতকাল রাতে বিজেপির তালিকায় দেখা গেছে বড়খলায় এবার নতুন মুখ, নাম বাদ পড়েছে কিশোর নাথের। প্রদেশ কমিটি নতুন করে সিদ্ধান্ত বদলায় এবং রুমি নাথকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি স্থানীয় নেতারা মনে করছেন রুমি কংগ্রেসের প্রার্থী হলে জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে সুস্মিতা দলের আদর্শকে সামনে রেখে এর প্রতিবাদ করেন। তার বয়ান, “যে ব্যক্তিকে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কয়েক মাস আগে বহিষ্কার করা হয়েছে, শুধুমাত্র নির্বাচনের স্বার্থে তাকে দলের টিকিট দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা একনিষ্ঠভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সম্মান দিতে হবে।”
এছাড়া সোনাই এবং কাটিগড়া এআইইউডিএফকে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন সুস্মিতা। তিনি মনে করেন সোনাই হচ্ছে কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী একটি আসন এবং এবার সেখানে দলের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
কংগ্রেস দলের ভিতরে এখন থমথমে পরিস্থিতি। এমনকি তমাল বণিকের সর্মথকরা চিন্তায় রয়েছেন। এই মুহূর্তে সুস্মিতা দল ত্যাগ করলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।
Comments are closed.