Also read in

"মাস্ক পরে অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না, অসমে করোনা নেই," বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিলচর দাঁড়িয়ে বলেছিলেন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের সবথেকে ভালো কাজ করেছেন সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। দেশে যখন করোনার থাবা আবার জোরালো হচ্ছে, সেই সময় অসমে নির্বাচন চলছে। ৬ এপ্রিল রাজ্যে তৃতীয় এবং শেষ পর্যায়ে নির্বাচন। এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, মাস্ক পরে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর প্রয়োজন নেই, অসমে করোনা নেই।

সম্প্রতি গুয়াহাটিতে এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র সরকার সারাদেশে বিভিন্ন নির্দেশ জারি করলেও, অসমের নিরিখে বলা যেতে পারে এখানে করোনার প্রভাব নেই। ফলে জনসমক্ষে মাস্ক পরে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করিনা। আমরা এখন অর্থনীতি চাঙ্গা করার দিকে নজর দিচ্ছি, যদি কেউ মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ায় তাহলে পার্লারে কি করে যাবে? কি করে অর্থনীতির উন্নতি হবে? যেদিন প্রয়োজন হবে আমি নিজে বলে দেব সবাইকে মাস্ক পরতে। এরপর কেউ মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানা নেওয়া হবে। তবে এই মুহুর্তে আমরা মাস্ক ব্যবহার করতে বলছি না।”

যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি প্রশ্ন করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে বলছে নির্বাচনের পরে করোনার প্রকোপ বাড়বে। এর উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিটিসির নির্বাচনের আগেও কিছু লোক এমন কথা তুলেছিলেন, অথচ দেখুন নির্বাচনের পরে কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। আমি বলছি এবার নির্বাচনের পরেও এমনটা হবে না। আগামীতে বিহু রয়েছে এবং আমরা রাজ্যে ধুমধাম করে বিহু পালন করব।”

দেশে করোনার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বড় আকার নিতে শুরু করেছে। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী গত দুই দিনে এক লক্ষের কাছাকাছি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এখন দেশে প্রায় সাত লক্ষ লোক করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। কিছুদিন আগে কাছাড় জেলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার শরীরে করোনার সংক্রমণ ছিল। সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য হলেও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু কিছু লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

সম্প্রতি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া জানিয়েছেন, তারা আবার করোনার বড়োসড়ো ঢেউ আসার সম্ভাবনা দেখছেন। এমনকি হাসপাতালকে আবার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে যাতে একসঙ্গে বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি এলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। তিনি বলেছিলেন, “ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ঢেউ সারাদেশে আছড়ে পড়েছে এবং আমরাও এর থেকে একেবারেই দূরে নই। প্রত্যেক ব্যক্তিকে এখন থেকে সাবধান হওয়া উচিত, অন্তত জনসমক্ষে মাস্ক পরা এবং ভিড় থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।”

তবে নির্বাচনী প্রচারে প্রত্যেক দলের জনসমাগম হয়েছে এবং সেখান সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক পরার কোনও বালাই ছিল না। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মনে কি প্রভাব পড়বে সেটা দেখার বিষয়।

Comments are closed.