যৌন কেলেঙ্কারি : বিকাশকে আজীবন নিষিদ্ধ করল শিলচর ডি এস এ
মহিলা হকি খেলোয়াড় কে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পদত্যাগী হকি কোচ বিকাশ ভট্টাচার্যকে আজীবন সাসপেন্ড করল শিলচর ডি এস এ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংস্থার গভর্নিং বডির বৈঠকে যৌন কেলেঙ্কারির নায়ক বিকাশকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত তথা বিকাশের ‘পার্টনার’ পাল পদবীর মহিলা ক্রিকেটারকেও আজীবন সাসপেন্ড করেছে সংস্থা।
এই শাস্তির ফলে এখন থেকে এখানকার কোনো ক্রীড়া অনুষ্ঠান অথবা কোন ক্লাব -সংগঠনে থাকতে পারবেন না বিকাশ ও সেই মহিলা ক্রিকেটার। একই সঙ্গে এখন থেকে মাঠে ময়দানেও তারা থাকতে পারবেন না। সোজা কথায়, বিকাশ ও পাল পদবীর মহিলা ক্রিকেটারকে ক্রীড়া জগত থেকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। গভর্নিং বডির এই সিদ্ধান্তটা খুব শীঘ্রই বিকাশের ক্লাব ইন্ডিয়া ক্লাব কেও জানিয়ে দেবে ডি এস এ। শুধু ইন্ডিয়া ক্লাব নয়, সংস্থার অনুমোদিত সবকটি ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিকাশকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানানো হবে। সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম কোন সদস্য কে কু কর্মের জন্য আজীবন নিষিদ্ধ করা হলো। সে দিক থেকে বিচার করলে সংস্থা ঐতিহাসিক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিন গভর্নিং বডির বৈঠকে বেশ কয়েকটি আলোচ্য বিষয় ছিল। তবে সবার নজর ছিল বিকাশ ভট্টাচার্যের যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়টির উপর। বৈঠকে সংস্থার সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং সিনিয়র মহিলা হকি খেলোয়াড়ের অভিযোগ পড়ে শোনান। বৈঠকে বিকাশকে কড়া শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সরব হন সংস্থার সদস্যরা।
পুরো ঘটনার তদন্ত করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই তদন্ত কমিটি গত বুধবার নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সংস্থায়। এই রিপোর্টে বিকাশ কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। পদত্যাগী হকি কোচের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছিল। একাধিক অডিও ভিডিও ক্লিপিংস ছিল। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় বিকাশের শাস্তি পাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। শুক্রবার গভর্নিং বডি এতেই সিলমোহর লাগিয়ে দিল। অবশ্য সংস্থার কাছ থেকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করেছিল এখানকার ক্রীড়ামহল।
Comments are closed.