উচ্চমাধ্যমিকের মাতৃভাষা ও অল্টারনেটিভ ইংলিশ পরীক্ষা ১৯ মে-য়ের বদলে এবার ৫ জুন, জানালো শিক্ষা পর্ষদ
উনিশে মে তারিখে উচ্চতর মাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষের পূর্ব-নির্ধারিত মাতৃভাষা এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে ৫ জুন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার এটি ঘোষণা করেছে। এক নির্দেশনামায় শিক্ষা পর্ষদের কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন পঙ্কজ বরঠাকুর খবরটি জানিয়েছেন। যদিও শিক্ষামন্ত্রী গতকাল ইঙ্গিত দিয়েছেন করোনা পরিস্থিতি কঠিন হলে পুরো পরীক্ষায় বাতিল হতে পারে। তবে যদি পরীক্ষা আয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে উনিশে মে কোনও পরীক্ষা থাকছে না।
উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার রুটিন জারি হওয়ার পর থেকেই উনিশে মে এমআইএল পরীক্ষা নিয়ে বরাক উপত্যকায় প্রতিবাদ হয়েছে। অনেকেই শিক্ষা পর্ষদের কাছে চিঠি লিখেছেন এবং খানিকটা আশ্বাস মিলেছিল রুটিন পরিবর্তন হবে বলে। তবে নির্বাচনের পর যখন পরীক্ষার চূড়ান্ত রুটিন জারি করা হয়, উনিশে মে পরীক্ষা অপরিবর্তিত ছিল। এতে আবার প্রতিবাদ গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সংগঠন ২৬ এপ্রিল বরাক বনধ ঘোষণা করে।
শেষমেষ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নামেন স্বয়ং শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়কে ফোন করে আস্বাস দেন, উনিশে মে কোনও পরীক্ষা থাকবে না, শিক্ষা পর্ষদ যে তালিকা বানিয়েছে তাতে পরিবর্তন করা হবে, অন্তত দিনটিতে বাংলা পরীক্ষা কিছুতেই থাকবে না।
রাজদীপ রায় বলেছিলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আগে থেকেই আশ্বাস দিয়েছেন উনিশে মে বাংলা পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। নির্বাচনের জন্য তিনি ব্যস্ত ছিলেন এবং নির্বাচনের পর শিক্ষা পরিষদ উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার চূড়ান্ত রুটিন জারি করেছে। এবার শিক্ষা মন্ত্রী এতে হস্তক্ষেপ করছেন। যেহেতু এদিন ভাষা শহীদদের বলিদান-দিবস উদযাপন করা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আবেগ থাকে, সেই দিক চিন্তা করে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করার কোনও কারন থাকছে না।’
তবে যারা বনধ ঘোষণা করেছিলেন তারা শিক্ষা মন্ত্রী বা শিলচরের সাংসদের মৌখিক আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেননি। অবশ্যই এর পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। এবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে কথাটি জানিয়ে দেওয়ায় অবশ্যই স্বস্তি ফিরবে।
Comments are closed.