Also read in

করোনায় মারা গেলেন শিলচরের আরও দুই ব্যক্তি, আক্রান্ত আরও আট বিমানযাত্রী

মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কাছাড় জেলার দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল, বুধবারে কেউ মারা না গেলেও বৃহস্পতিবার একই দিনে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় প্রায় প্রত্যেক দিন ১০০ বা তার বেশি লোক ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অমল দাস এবং সন্ধ্যা ভট্টাচার্য নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে যাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছিল। হাসপাতালে এখন ৫৭ জন ব্যক্তি চিকিৎসাধীন, এরমধ্যে ২১ জন রয়েছেন আইসিইউ ওয়ার্ডে এবং ৩৬ জন সাধারণ ওয়ার্ডে। ১৪ জনকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে এবং ৭ জন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার নতুন ৪ জন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শিলচর শহরের আতালবস্তি এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা ভট্টাচার্যের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রায় ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর পর জানা যায় রোগীর আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। অর্থাৎ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। একটি বিশেষ ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়, এরপর কোভিড প্রটোকলে শেষকৃত্যের জন্য শিলচর শ্মশান ঘাটে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শহরের আশ্রম রোড এলাকার ৫০ বছর বয়সের অমল দাস নিউমোনিয়া সহ বেশ কয়েকটি সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২৫ এপ্রিল তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে, অন্যান্য রোগীদের মত তার মৃতদেহ সম্পূর্ণ কোভিড প্রটোকলে শিলচর শ্মশান ঘাটে শেষকৃত্যের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কাছাড় জেলায় বৃহস্পতিবার রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৭০ ব্যক্তির সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এদিন ১৭৭৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট হয়েছে এর মধ্যে ৭০ জন পজিটিভ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার শিলচর বিমানবন্দরে মোট ২৭৭ জন যাত্রী ফিরেছেন এবং তাদের মধ্যে ২১৩ জন যারা উত্তরপূর্বের বাইরে থেকে এসেছেন, তাদের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। মোট ৮ জন যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

Comments are closed.