
করোনা কেড়ে নিল আরো একটি তরতাজা প্রাণ। ক্রিকেটের ২২ গজে অনেক ম্যাচ জিতলেও মারণ ভাইরাসের কাছে হেরে গেলেন হাইলাকান্দির দিব্যজ্যোতি (পাপ্পু) নাথ। বয়স হয়েছিল ২৬। হাইলাকান্দির ক্রিকেটে এক পরিচিত নাম ছিলেন পাপ্পু। জেলা দলের হয়ে সিনিয়র ও জুনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
হাইলাকান্দি জেলার হয়ে ৬-৭ বছর সুনামের সঙ্গে আন্তঃজেলা সিনিয়র ক্রিকেট খেলেছেন। হাইলাকান্দির ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ব্লাডমাউথ ক্লাবের সদস্য ছিলেন। প্রথম ডিভিশনে ব্লাডমাউথ ক্লাবের হয়ে খেলতেন। জেলা দলের হয়ে সিনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেটে বেশ কয়েকটি ভালো পারফরমেন্স রয়েছে তার। ভালো মানের অলরাউন্ডার ছিলেন। বল ও ব্যাট দুটোই করতেন ডান হাতে।
দিব্যজ্যোতির বাড়ি কাটলিছড়া হাসপাতাল রোডে। দেহে বিষক্রিয়ার ফলে গত ২২ এপ্রিল শিলচর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেদিনই তার করোনা টেস্ট হয়। যার রিপোর্ট আসে পজিটিভ। দেহে বিক্রিয়ার ফলে তার শারীরিক অবস্থা এমনিতেই ভাল ছিলনা। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হবার ফলে দিব্যজ্যোতির ফুসফুসের বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। গত ৯ দিন থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তবে শুক্রবার বিকেল ৫:১৫ মিনিটে তার সেই লড়াই শেষ হয়ে যায়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
হাইলাকান্দি জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ প্রয়াত চন্দন নাথের একমাত্র পুত্র পাপ্পুর মৃত্যুতে জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুধু হাইলাকান্দি জেলাতে নয়, বরাক উপত্যকায় ক্রিকেটার পাপ্পুর বেশ নামডাক ছিল। তাই তার এমন অকাল প্রয়াণে সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
Comments are closed.