Also read in

অনাড়াম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল শিলচর ডি এস এ

১৯৫৭ সালে আজকের দিনটাতেই যাত্রা শুরু করেছিল শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। শহরের প্রায় ৬০ জন ক্রীড়াপ্রেমী এগিয়ে এসেছিলেন সেই দিনটাতে। আর গঠন করেছিলেন শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। গুটি গুটি পায়ে সফর শুরু করার পর অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে সংস্থাকে। পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক ঝড় ঝাপটা। তবে সবকিছু পেরিয়ে আজ গোটা রাজ্যের অন্যতম সেরা ডি এস এর তকমা হাসিল করতে পেরেছে শিলচর। এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। তবে আজকের এই দিনটাতে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে সেইসব প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের। তারা যদি সেই সময় এগিয়ে না আসতেন তাহলে হয়তো আজ এই জায়গাতে পৌঁছতে পারত না শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তাই নিজেদের ৬৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সংস্থার সব প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের স্মরণ করলেন বর্তমান কর্মসমিতির সভাপতি বাবুল হোড় ও সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং। সেই সঙ্গে যারা জীবিত রয়েছেন, তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন।

করোনার জেরে গতবছর একেবারে ঘরোয়া ভাবে এই দিনটি পালন করেছিল শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এবারও করোনা আবহে এক অনাড়াম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল শিলচর ডি এস এ। এদিন সকালে পতকা উত্তলন ও সাফাই অভিযানের মাধ্যমে ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎযাপন করে ডি এস এ। করোনা পরিস্হিতিতে কোভিড প্রটোকল মেনে বুধবার সকাল সাতটায় সংস্থার পতকা তুলেন সভাপতি বাবুল হোড়। এর আগে সভাপতি ও সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে শিলচর ভেটেরন ক্রিকেটার্স ক্লাব ও বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে স্টেডিয়াম সাফাই করা হয়। এরপর সাফাই কর্মীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, মাক্স ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

এদিন ৩৫ জন পৌরসভার সাফাই কর্মীর হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এতে ছিলেন সংস্থার মাঠের কর্মীরা ও। করোনার জেরে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা উপস্থিত হতে পারেননি। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে এই মুহূর্তে শুধু বাদল দে, অভিজিৎ এন্দো, সুজিত দত্তগুপ্ত, ডা: পূর্ণেন্দু দাস এবং নিরঞ্জন রায় জীবিত রয়েছেন। বাকিরা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন।
সভাপতি বাবুল হোড় বলেন, ‘সংস্থার প্রত্যেক সদস্যের জন্য আজকের দিনটা এক বিশেষ গুরুত্ব রাখে। এই দিনটাতেই সংস্থা নিজের যাত্রা শুরু করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত গত বছরের পর এবারও আমরা দিনটা ভালো ভাবে উদযাপন করতে পারলাম না। কিন্তু কি আর করা যাবে। চারিদিকে করোনা যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তাতে এ ছাড়া কোনও বিকল্প ছিলনা। আশা করি শীঘ্রই আমরা এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে পারব।’

এদিন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডি এস এ র সহ সভাপতি সুজন দত্ত, নন্দ দুলাল রায়, আশুতোষ রায়, নীলাভ মজুমদার, সহ সচিব যাদব পাল, অরিজিৎ গুপ্ত, অজয় চক্রবর্তী, আম্পায়ার সচিব হিমাদ্রী শেখর দাস, ক্রিকেট সচিব নিরঞ্জন দাস,স্টেডিয়াম সচিব দেবাশীষ সোম, ফিজিও সচিব উৎপল দত্ত,বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি রিতেন ভট্টাচার্য্য, প্রাক্তন সচিব দ্বিজেন্দ্রলাল দাস, শিলচর ভেটেরন ক্রিকেটার্স ক্লাবের অভিষেক চক্রবর্তী, দীপঙ্কর দেব, চন্দন শর্মা প্রমুখ।

Comments are closed.