শিলচরের নিষিদ্ধপল্লী সংলগ্ন এলাকায় ড্রাগস সহ আটক মধুরবন্দের এক যুবক
রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিভাগ একের পর এক ড্রাগস বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাচারকারীদের আটক করছে পুলিশ। শুক্রবার শিলচর শহরের প্রেমতলা সংলগ্ন নিষিদ্ধ পল্লী এলাকার পাশে ড্রাগস বিক্রি করতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়লো এক পাচারকারী। আটক হওয়া ব্যক্তির নাম তাজেল হোসেন চৌধুরী, সে ফাটকবাজার সংলগ্ন মধুরবন্দের ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের বাসিন্দা।
তার কাছ থেকে ৪৬টি ড্রাগস ভর্তি কনটেইনার উদ্ধার করা হয়। একটি পলিথিনের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় ড্রাগসের কন্টেনারগুলো। জব্দ করা ড্রাগস এর পরিমান ৭.১৩ গ্রাম বলে জানান পুলিশ। শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন স্থানীয় ড্রাগস পাচারকারীদের আটক করলেও এগুলো কোথা থেকে আসছে এবং এর পিছনে কোন চক্র কাজ করছে এব্যাপারে পুলিশ এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরেনি। সম্প্রতি অতিরিক্ত পুলিশসুপার পার্থ প্রতিম শইকিয়া বলেছিলেন, পুলিশের কাছে অনেক তথ্য থাকা সত্ত্বেও সেটা সবসময় জনসমক্ষে তুলে ধরা হয় না, কারণ এতে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাচারকারীরা এগুলো জানতে পেলে সচেতন হয়ে যায়।
শুক্রবার দিনের বেলা গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর সদর থানার টিএসআই নীলম নাথ পুলিশের রাইডিং টিম নিয়ে রাধামাধব রোড সংলগ্ন নিষিদ্ধ পল্লীর পাশে ওত পেতে থাকেন। ঠিক সময়ে তাজেল হোসেন চৌধুরী একটি দোকানে ড্রাগস বিক্রি করতে আসে। তখন তাকে ড্রাগস সহ হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। জব্দ হওয়া ড্রাগস হিরোইন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
তারা বলেন, “সম্প্রতি শিলচর শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় যেসব ড্রাগস ধরা পড়ছে সেগুলো হিরোইন বলেই আমাদের ধারণা। তবে এর পেছনে মূল চক্র কিভাবে এবং কার সাহায্যে এগুলো পাঠাচ্ছে সেটা এখনো তদন্তের বিষয়। লাগাতার অভিযান চালিয়ে ড্রাগস সহ পাচারকারীদের আটক করায় অনেকের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হয়তো কোনও এক আটক হওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে মূল চক্রের সন্ধান পেয়ে যেতে পারে পুলিশ। তবে ড্রাগসের বিরুদ্ধে শুধু পুলিশ অভিযান চালালে হবেনা, জনগণকে সচেতন হতে হবে।”
Comments are closed.