"তোমার মিউজিক থেরাপি সমাজের উপকার করছে" চিঠি লিখে বিক্রমজিত বাউলিয়াকে সাধুবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে একা থাকা লোকেদের গান শুনিয়ে মন ভালো করছেন শিলচরের গায়ক বিক্রমজিত বাউলিয়া (কর)। এই খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বলিউডের বিখ্যাত মিউজিক ডিরেকটর শেখর রাবজিয়ানির মত লোকেরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, তার সঙ্গে ইন্টারভিউ করছেন। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা চিঠি লিখে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং তার এই কাজটিকে মিউজিক থেরাপি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এতে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছেন বিক্রমজিত বাউলিয়া। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন এবং তার কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন।
কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি পোস্ট করা হয়েছিল, সেটা বৃহস্পতিবার বিক্রমজিত বাউলিয়ার হাতে এসে পৌঁছেছে। পৌঁছামাত্র তিনি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারি প্যাডে লেখা চিঠিতে বলেছেন, “এটা সত্যি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যখন আইসোলেশনে থাকেন, তাদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে দেখা হয় না, অনেকেই একা হয়ে যান এবং মন দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে বিক্রমজিত বাউলিয়া ফোন করে তাদের গান শোনাচ্ছেন এবং গল্প করছেন, এটা আমার কাছে একটা মিউজিক থেরাপির মতো মনে হয়েছে। শুনেছি অনেকেই এতে আনন্দিত হয়েছেন এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হচ্ছেন। রোগীদের কঠিন সময়ে গানের মাধ্যমে তাদের মন ভালো রাখার চেষ্টার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে বিক্রমজিত বাউলিয়াকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই কাজটি অত্যন্ত মানবিক এবং এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মত। এতে সমাজের মানুষের মধ্যে ভালো চিন্তা ছড়িয়ে পড়ছে। আমি আবার তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
বিক্রমজিত বাউলিয়া নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব এবং আমাদের কাছে আদর্শস্থানীয়। আমার এই কাজের কথা তার কানে গিয়ে পৌঁছেছে এবং তিনি আমাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, এটা আমার কাছে জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি তার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তাকে আমার শ্রদ্ধা এবং প্রণাম।”
এর আগে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য নিজের টুইটারে বিক্রমজিত বাউলিয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। সারাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম তার কথা লিখেছে। সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গীতপ্রেমী এবং সঙ্গীত শিল্পীরা বিক্রমজিত বাউলিয়াকে ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া এখনও করোনা আক্রান্ত রোগীরা তাকে ফোন করেন এবং কাজের মাঝখানেও তিনি গান শোনাতে ভুলেন না। অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় থাকেন, তখন ফোন এলে চুপচাপ উঠে চলে যান এবং নিজের একা ঘরে বসে করোনা আক্রান্ত রোগীকে গান শুনিয়ে আবার ফিরে আসেন। এই অভ্যাস তার জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Comments are closed.