Also read in

মিজো বাহিনী লায়লাপুরে রুখল জ্ঞানেন্দ্র ত্রিপাঠীর কনভয়, আসাম মিজোরাম সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে

রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কমিশনার তথা সেক্রেটারি জ্ঞানেন্দ্র ত্রিপাঠী বরাক উপত্যকা সফরে রয়েছেন এবং তিনি আসাম মিজোরাম সীমান্তের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করছেন গতকাল। গতকাল তিনি ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের লায়লাপুর সীমান্ত পরিদর্শনে যান এবং আজ তিনি হাইলাকান্দি যাবেন যেখানে অনেকগুলো ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক আসাম-মিজোরাম সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তার এই পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল জিডি ত্রিপাঠী কাছাড় জেলার ডি এফ ও সানি দেও চৌধুরী, এডিসি দীপক জিডুং, দক্ষিণ আসামের সিসিএফ জ্যোতিন্দ্র শর্মা, সোনাইয়ের সার্কেল অফিসার সুদীপ নাথ এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সীমান্তে গিয়েছিলেন।

এই প্রতিনিধি দলকে লায়লাপুর বিট অফিসের কাছে প্রথম বাধা দেওয়া হয়। তারপর তারা আরও একটু এগিয়ে গেলে মিজো আইআর ব্যাটেলিয়ান, সেন্ট্রাল ফোর্স এবং স্থানীয় মিজোরা এই প্রতিনিধি দলকে আসাম সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার ভেতরেই আটকায়। ওই নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসাম পুলিশের আধিকারিক এবং ডিএফও’র কাছে অনুমতি পত্র দেখাতে বলে । ডিএফও সানি দেও চৌধুরী তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আসামের এলাকার ভেতরে চলাচল করতে কেন অনুমতি পত্র দেখাতে হবে ?’

তারপর বেশ উত্তেজনাকর বাদানুবাদ অনুষ্ঠিত হয় উভয় দলের মধ্যে এবং কনভয় ঐ স্থানে প্রায় ৩০ মিনিট আটকে থাকে। মিজোরামের দিক থেকে এক প্রতিনিধি দল ঐ স্থানে পৌঁছায়। তাদের প্রতিরোধ অগ্রাহ্য করে শেষমেশ প্রতিনিধিদল আসাম- মিজোরাম সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছান এবং পরিদর্শন করেন। এই ব্যাপারে ত্রিপাঠিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো কিছু বলতে অস্বীকার করেন ।

বেশ কিছুদিন ধরে মিজো আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেই চলেছে যেখানে আসাম সীমান্তের ভিতরে মিজোরা দখলদারি কায়েম করে চলেছে। কয়েক মাস আগে ও বরাক বুলেটিনে জানানো হয়েছিল যে, আসামের এলাকায় বন বিভাগের অধীন জমিতে আরসিসি ঘর বানানো চলছিল। ঐ প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ার পর ডিএফও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করান। গতকাল পরিদর্শনের সময় ও বেশকিছু বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়েছে আসাম এলাকার ভেতরে।

স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেছেন যে, যখনই কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যায়, মিজোরা স্থানে স্থানে চেক গেইট বসায় এবং পরবর্তীতে ঐ এলাকা তাদের বলে দাবি করে । যার ফলে ওইখানে আসামের ভিতরের স্থায়ী বাসিন্দা সমস্যায় পড়ছেন।

সূত্র পাওয়া তথ্যমতে, জি ডি ত্রিপাঠী রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি জিষ্ণু বড়ুয়া এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের সাথে বিস্তারিত আলোচনা ক্রমেই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!