Also read in

'করোনা' মোকাবেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিই হচ্ছে বিধায়ক হিসেবে আমার প্রথম সাফল্য: দীপায়ন

‘এমন একটা কঠিন এবং অস্থির সময়ে বিধায়ক হয়েছি যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। তবে দায়িত্ব নিয়েই আমি কাজে নেমে পড়েছিলাম। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিই বিধায়ক হিসেবে এই একমাসের সময়ে আমার প্রথম ও সবচেয়ে বড় সাফল্য’, এমনটাই জানালেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী।

বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হবার আগেই এক সাক্ষাৎকারে দীপায়ন বরাক বুলেটিনকে জানিয়েছিলেন, জমা জল ও ট্রাফিক সমস্যা সমাধান তার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে। এবার দায়িত্ব নেওয়ার একমাস পরও সেই দুটি সমস্যার কথা আবার উল্লেখ করেন শিলচরের বিধায়ক। তবে এই মুহূর্তে তার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা। ‌তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। বিধায়ক জানালেন যে করোনা মোকাবিলায় দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিন থেকেই তিনি কাজ করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘বিধায়ক নির্বাচিত হবার আগে থেকেই আমি করোনা মোকাবিলায় কাজ করছিলাম। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছিল। তবে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ায় সেই দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে।’

শিলচরের বিধায়ক বলেন, ‘কঠিন একটা পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ‌ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি ভ্যাকসিনেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছিলাম। এ নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধ করেছিলাম যেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি আমার আবেদনে সাড়া দেন। শুধু এটা নয়, হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রী হবার পরই এক মাসের মধ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ৪০টা বেড যোগ হয়েছে। সেইসঙ্গে শীঘ্রই আরো বেড যোগ হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বর্তমানে কাজ চলছে।’

দীপায়ন চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অনেক উন্নতি হয়েছে। সেই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী। আর দায়িত্ব নিয়েই তিনি শিলচর মেডিক্যাল কলেজের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন।তাছাড়া বরাকের উপরও বিশেষ নজর দিয়েছেন। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল, এক মাসের মধ্যেই দুজন কেবিনেট রেংকের মন্ত্রী বরাক সফর করেছেন। এখানকার নানা সমস্যা খতিয়ে দেখছেন। এটা এক বিরাট সাফল্য।’

 

The MLA being felicitated in front of education minister after he completed a month in office

ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিলচরের বিধায়ক বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া সফল করে তোলার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির সকল সদস্যরা গত এক সপ্তাহে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। আমি নিজে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের খোঁজ নিয়েছি। দাঁড়িয়ে থেকে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া দেখেছি।’গত কয়েক মাসে শিলচরে পানীয় জল সমস্যা বিরাট আকার ধারণ করেছে। শিলচরের বিধায়ক মনে করেন, শীঘ্রই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে শিলচর। এ জন্য ইতিমধ্যেই তিনি এক বৈঠক করে ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পানীয় জলের একটা সমস্যা রয়েছে। তবে এ নিয়ে আমি ইতিমধ্যে দু-একটি বৈঠক করেছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শহরে চারটি ওভারহেড ট্যাংক তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। তবে করোনার জন্য কাজ কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।’

শিলচরের বিধায়ক জানান, আরবান স্যুয়ারেজ বোর্ডের সমস্যাটা বেশি। তিনি বলেন, ‘কর্মচারিরা গত আট মাস থেকে বেতন হীন। গোটা আসামে গত কয়েক মাস থেকে বেতন পাননি আরবান স্যুয়ারেজ বোর্ডের কর্মচারিরা। এটাই সমস্যা সৃষ্টি করছে। বেতন না পেলে কর্মচারিরা কিভাবে কাজ করবে, বলুন তো। আমি এ নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলবো।’

বিধায়ক আরও জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ জুন বরাক সফরে আসতে পারেন অশোক সিঙ্ঘল। তার কাছেও এখানকার সমস্যাগুলো তুলে ধরা হবে বলে জানালেন দীপায়ন চক্রবর্তী।

 

Comments are closed.