Also read in

বরাকের প্রথম পোস্ট কোভিড ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস রোগীর চিকিৎসার জন্য একটি দল গঠন করা হল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে

কিছুদিন আগে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল বরাক উপত্যকার ‘মিউকর্মাইকোসিস’ এ আক্রান্ত প্রথম পোস্ট কোভিড রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠানো হয়েছিল। গত ২৬ মে পোস্ট কোভিড জটিলতায় আক্রান্ত এই রোগীকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টি শক্তির অসুবিধা, মাথা ব্যাথা এবং চোখ প্রচণ্ড লাল হয়ে যাওয়া ছিলো তার প্রাথমিক শারীরিক জটিলতা।

ডাক্তাররা সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীর অনুনাসিক এন্ডোস্কোপি এবং কেওএইচ (পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড) পরীক্ষা করেন, যার থেকে উঠে আসে যে করিমগঞ্জ থেকে আসা এই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। রোগীকে অক্সিজেনের সাহায্যে রাখা হয়েছিল। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। তখন রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে মনে করা হয়েছিল। শিলচর মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি হয় এবং স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে সক্ষম হন তিনি।

এরপর গত শনিবার শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিউরো সার্জিক্যাল ফেসিলিটির অভাবে রোগীকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়‌।

তার চিকিৎসা পদ্ধতি তদারকির জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এখন একটি দল গঠন করা হয়েছে।

মেডিক্যাল দলটিতে যারা যোগদান করেছেন তারা হলেন,

১) ডঃ বি.কে. বৈশ্য, অধ্যাপক এবং এইচওডি, নিউরো সার্জারি, চেয়ারম্যান হিসেবে

২) ডঃ বসন্ত হাজারিকা, অধ্যাপক,পালমোনারি মেডিসিন, সদস্য সচিব হিসেবে

৩) ডঃ ভারতী গগৈ, অধ্যাপক এবং এইচওডি, অপথালমোলজি, সদস্য হিসাবে

৪) ডঃ কবিতা কলিতা, অধ্যাপক এবং এইচওডি, প্লাস্টিক সার্জারি,সদস্য হিসাবে

৫) ডঃ লাহারি সইকিয়া, অধ্যাপক এবং এইচওডি, মাইক্রোবায়োলজি, সদস্য হিসাবে

৬) ডঃ কল্পনা শর্মা, অধ্যাপক এবং এইচওডি,ইএনটি, সদস্য হিসাবে

৭) ডঃ অনুরাধা দেউরি, অধ্যাপক, মেডিসিন, সদস্য হিসেবে।

রোগীর বিষয়ে উল্লেখ করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডঃ ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বর্তমানে রোগী স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন এবং তার শারীরিক লক্ষণগুলোও এখন অনেকটা কমেছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে গঠিত কমিটি শুধুমাত্র কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্টের জন্য সুপারিশ করেছে। এখনও অবধি অস্ত্রোপচারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

Comments are closed.