Also read in

দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে উদ্ধার ১২টি প্যাকেটে রাখা ১৯ কেজি গাঁজা, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক

আগরতলা থেকে দিল্লিগামী আনন্দবিহার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে সোমবার রাতে উদ্ধার হয়েছে ১২ প্যাকেট গাঁজা, এর ওজন প্রায় ১৯ কিলোগ্রাম। এতে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে কারণ রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনে গাঁজা পাচার একটি বড় সংকেত দিচ্ছে। পাচারকারীরা তাহলে এখন এতটাই বেপরোয়া এবং তাদের দখল রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনেও পৌঁছে গেছে।

জানাগেছে, ত্রিপুরা থেকে ট্রেনটি রওনা হওয়ার পর বিএসএফ গোয়েন্দা গাঁজা পাচারের কথা জানতে পারে৷ করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেনটির স্টপেজ কমিয়ে আনা হয়েছে, ত্রিপুরার কোথাও না থেমে সরাসরি বদরপুর চলে আসে এটি। ত্রিপুরা থেকে বিএসএফ বাহিনী তাদের শিলচর ও ভাঙ্গা শাখাকে গাঁজার তথ্যটি জানিয়ে দেয়৷ বদরপুর স্টেশনের ট্রেনটি ঢোকায় আগেই বিএসএফ, আরপিএফ এবং জিআরপি পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। স্টেশনে ট্রেনকে প্রয়োজনের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয় এবং গোয়েন্দা সূত্রে যে কামরার কথা বলা হয়েছিল, সেখানে তল্লাশি চালানো হয়।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাথরুমের উপরের ছাদের একটা অংশ খুলে দেখা যায় সেখানে রাখা আছে ১২ প্যাকেট গাঁজা৷ তবে কারা এটি খুব সাবধানে এখানে রেখে দিয়েছিল এটা খুঁজে পাওয়া যায়নি, ফলে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনে এভাবে দুষ্কৃতীরা গাজা রাখতে পেরেছে এটা নিয়ে অনেক যাত্রী আতঙ্কিত হন। কেউ কেউ বলেন, “আজ ট্রেনের বাথরুমের উপর বারোটি গাজার প্যাকেট যারা রেখে দিতে পেরেছে, আগামীতে বোমা রেখে দেবে না, এর কি বিশ্বাস?” পরে অবশ্য যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদেই বদরপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়৷

রেলের সুরক্ষা বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা গাঁজার ওজন ১৯ কেজি, এর মূল্য ২ লক্ষ টাকার বেশি হতে পারে। গাঁজার প্যাকেট বদরপুর জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন এই অভিযানে ছিলেন বদরপুর আরপিএফ ওসি এস এ খান, জিআরপি থানার ওসি নয়ন মনি সিনহা, বিএসএফের উচ্চ পদস্থ অফিসার সহ বাহিনীরা।

Comments are closed.

error: Content is protected !!