Also read in

বদরপুর স্টেশনে টেডি পুতুলের ভেতর থেকে উদ্ধার ১২ কেজি গাঁজা, আটক ২

টেডি বিয়ারের ভেতরে ঢুকিয়ে বিরাট পরিমাণের গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছিল দুই পাচারকারী। আগরতলা থেকে শিলচর আসা যাত্রীবাহী ট্রেনে তারা বদরপুর স্টেশনে নেমেছিল এবং পরবর্তীতে শিলচর থেকে কোলকাতাগামী ট্রেনে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল। মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ তাদেরকে সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিয়ে যায় পুলিশ। এতেই ধরা পড়ে টেডি বিয়ারের ভিতর রাখা নয় প্যাকেট গাঁজা। ওজন করে দেখা গেছে প্রায় ১২ কেজি গাঁজা রয়েছে সেখানে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আগরতলা থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস থেকেও ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল বদরপুর পুলিশ। তবে সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এবার দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বুধবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কারাগারে।

রেল পুলিশের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধৃতরা হচ্ছে জাগা দেবী (৩৯) এবং ধর্মেন্দ্র বর্মা (৪১)। রেল পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, আগরতলা থেকে আসা শিলচরগামী ট্রেনটি বদরপুর স্টেশনে আসার পর অনেক যাত্রীই নেমে পড়েন, অনেকেই প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করলেও কিছু লোক সেখানেই বসে ছিলেন। কেউ কেউ শিলচর থেকে কোলকাতাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে দুই যাত্রীর গতি বিধি দেখে সন্দেহ জাগে রেল পুলিশের। এই যাত্রীদের সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ আর একটি বড় টেডি পুতুল।

পুলিশের আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুব একটা সন্দেহ প্রকাশ না করলেও যখন টেডি বিয়ার দেখেন তখন তাদের সন্দেহ বেড়ে যায়, কারণ পুতুলটির ওজন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ছিল। এই সন্দেহের বশে মহিলা ও পুরুষ যাত্রীকে থানায় নিয়ে যায় রেল পুলিশ। পুতুলটির শেলাই কাটতেই তুলোর সঙ্গে বেরিয়ে আসে একের পর এক গাঁজার প্যাকেট। এরপর আরপিএফ ও জিআরপি পুলিশ যৌথ অভিযানে তাদের ব্যাগে তল্লাশি চালালে আরো কিছু গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া নয়টি প্যাকেটে প্রায় ১২ কেজি গাঁজা ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

গত সপ্তাহে যখন রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনে গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল, তখন অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন সরকারি যানবাহনগুলো কতটুকু সুরক্ষিত। এবার আবার প্রমাণ হয়েছে পাচারকারীরা ট্রেনের মাধ্যমে নিজেদের একটি রুট বানিয়েছে এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বদরপুর স্টেশন। রাজ্যে ড্রাগসের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সরকার এবং প্রত্যেক জেলার পুলিশ প্রায় প্রতিদিন পাচারকারীদের আটক করছে। তবে ড্রাগসের পাশাপাশি গাঁজার পাচার অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

 

Comments are closed.