Also read in

পাথারকান্দির গৃহবধূ এখন বৃটেনের সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক, তার সাফল্যে প্রফুল্লিত স্বাস্থ্য বিভাগ

প্রবাদে বলা হয় প্রত্যেক পুরুষের সাফল্যের পেছনে একজন মহিলার অবদান থাকে। তবে হেলেন দোংগেলের সাফল্যের পেছনে বিশেষ অবদান রয়েছে তার স্বামীর। তিনি নিজের ক্যারিয়ারের অনেক কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে পুরোটা সময় স্ত্রীর সাফল্যের পেছনে কাজ করে গেছেন, বিদেশে গিয়েও স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে তার।

হেলেন দংগেলের জন্ম হাফলংয়ের এক পাহাড়ি অঞ্চলে, বিবাহসূত্রে করিমগঞ্জের পাথারকান্দি এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে অধ্যবসায় এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে এবার আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। বরাক উপত্যকার মেয়ে এখন বৃটেনের এক সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ইতিমধ্যে তিনি সেই দেশে পাড়ি দিয়েছেন এবং আগামীতে তার স্বামী ও কন্যাকেও সেখানে নিয়ে যাবেন।

পাথারকান্দির দোহালিয়া -ফরিদকোনা জিপির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মকর্তা সুরজিত ছেত্রীর স্ত্রী হেলেন দংগেল পাথারকান্দি মডেল হাসপাতালের জিএনএম নার্স পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে কেরালায় গিয়ে স্ত্রীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন এবং পরবর্তীতে হেলেন দংগেল ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করে ব্রিটেনে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।

বরাক বুলেটিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুরজিত ছেত্রী বলেন, “গোটা উওর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে হেলেন দংগেলই একমাত্র জিএনএম নার্স যিনি এই বছর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (ইউকে)-য়ের সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় থেকে ডাক পেয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে কেরালায় ‘ওক্যুপেশনাল এগ্জাম’ নামে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেন। এই পরীক্ষার বিশ্বের মোট ৫২ টি দেশ থেকে পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে একমাত্র পরীক্ষার্থী হিসেবে হেলেন দংগেল সব থেকে ভাল নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। জুলাই মাসের ২ তারিখ তিনি কাজে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, জন্ম উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার টুমজাং গ্রামে। খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী। দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে পাথারকান্দি মডেল হাসপাতালে কাজ করে গেছেন। তার এই সাফল্যে গর্বিত গোটা পাথারকান্দিবাসী। দুই বছর আগে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছু নিয়ম ছিল। এসব ক্ষেত্রেও উত্তীর্ণ হয়ে হেলেন বৃটেনের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে এক জন স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

Comments are closed.