শিলচরের ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন বিধায়ক দ্বীপায়ন, এখন থেকে ন্যাশনাল গেমসে পদক জিতলেই চাকরি
শিলচরের ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন বিধায়ক দ্বীপায়ন চক্রবর্তী। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান শিলচরের বিধায়ক। তিনি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী বিমল বরার কাছে প্রশ্ন করেন, শিলচর বিধানসভা সমষ্টির ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নতির জন্য সরকারের কী প্রকল্প রয়েছে? আর সেই প্রকল্প গুলির বর্তমান অবস্থান কি?
আসলে বিধানসভার এক ঘন্টার প্রশ্ন-উত্তর পর্বে শিলচরের ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দীপায়ন। তবে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করে নেওয়ায় শিলচরের বিধায়কের প্রশ্নটি চলে যায় আনস্টাড প্রক্রিয়ায়। যেখানে নিয়ম অনুসারে লিখিতভাবে শিলচরের বিধায়কের প্রশ্নের জবাব দেন ক্রীড়ামন্ত্রী বিমল বরা। দ্বীপায়ন এর প্রশ্নের ক্রীড়ামন্ত্রী লিখিত জবাব দেন, ২০১৬-২০২১ সময়কালে রাজ্য সরকার শিলচরের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নতির জন্য দুটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এক, শিলচরে একটি ইয়ুথ হোস্টেল স্থাপন। দুই, শিলচর ফুটবল অ্যাকাডেমির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। এই দুটি প্রকল্প এখনো শুরু হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই দুটি প্রকল্পর কাজ শুরু হয়ে যাবে।
শিলচরের বিধায়ক জানান, তার খুব ইচ্ছে ছিল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ক্রীড়া পরিকাঠামোর জন্য সরব হবেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি সুযোগ না পাওয়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। দীপায়ন বলেন, ‘৯:৩০ থেকে সকাল ১০:৩০ পর্যন্ত বিধানসভার প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থাকে। আশা করেছিলাম এই সময়ের মধ্যে আমার প্রশ্নটা চলে আসবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আজ আর সেই সুযোগটা পেলাম না। সুযোগ পেলে শিলচর ডি এস এর অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলার ইচ্ছে ছিল। স্টেডিয়াম নিয়ে সরকারের কি পরিকল্পনা রয়েছে, তা জানার ইচ্ছে ছিল। আর যদি শিলচর স্টেডিয়াম সরকারের পরিকল্পনার আওতায় না থাকে তাহলে সেটা যেন শীঘ্রই পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়ে থাকে, সেজন্য বিধানসভায় প্রশ্ন রাখতাম। আগামীতে সুযোগ পেলে এই প্রশ্নগুলো আমি তুলবো।’
শিলচরের বিধায়ক আরো জানান, পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে যে অ্যাথলেটিক ট্রাক রয়েছে সে সম্পর্কেও প্রশ্ন করার ইচ্ছে ছিল। দীপায়ন জানান, সোমবার বিধানসভায় অনেকেই ক্রীড়া প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর প্রতিটি প্রশ্নের জবাব ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ড: হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেক বিধানসভা সমষ্টির বিধায়করা যেন নিজেদের সমষ্টিতে অলিম্পিক সাইজ স্টেডিয়াম গড়ে তোলার জন্য জমি দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের প্রত্যেক জেলা ক্রীড়া সংস্থা কে যাতে বছরে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়া যায় তার জন্য পরিকল্পনা করছে সরকার। এখানেই শেষ নয়, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, অলিম্পিক গেমস, এশিয়ান গেমস অথবা কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতলে তো সরকারি চাকরি মিলবেই, তবে এখন থেকে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় রাজ্যের অ্যাথলিটরা পদক জিতলেও মিলবে সরকারি চাকরি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্পোর্টস পেনশন আট থেকে দশ হাজার টাকা করে দেবার পরিকল্পনা করছে সরকার।
Comments are closed.