Also read in

নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার দাসকলোনির মৃৎশিল্পীর

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে মূর্তি বানানোর ব্যবসা। বুধবার সকালে শিলচর শহরের দাসকলোনি এলাকায় এক মৃৎশিল্পীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিজের বাড়িতেই যে ঘরে মূর্তি বানাতেন সেখানে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ সুপার বৈভব চন্দ্রকান্ত নিম্বালকর নিজে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে প্রায় কয়েক ঘণ্টা পরেও ঝুলন্ত মৃতদেহ নামানো হয়নি। পরিবারের লোকেরা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে। তবে এলাকাবাসীর মুখে শোনা গেছে, আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না, তাই বাড়িতে অশান্তি ছিল।

দাসকলোনির মাঝামাঝি এলাকায় নিজের বাড়িতে একটি ঘরে বহুদিন ধরে মূর্তি বানানোর কাজ করতেন ৪২ বছর বয়সের কাজল দাস। দুই ছেলে কুনাল দাস ও করণ দাস সহ পত্নীকে নিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতেন। তার পাশের অংশে বড় ভাই এবং তার পরিবারের লোকেরা থাকেন। গতবছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে মূর্তির ব্যবসায় প্রচণ্ড ভাটার টান পড়ে। অনেকেই মূর্তি বানিয়ে বিক্রি করতে পারেননি। দুর্গাপুজোয় হঠাৎ করে যখন নতুন এসওপি জারি করে বলা হলো পাঁচ ফুটের বেশি বড় মূর্তি বানানো যাবেনা, কাজল দাস এবং তার ছেলেরা মিলে একটি ছোট্ট এবং সুন্দর মূর্তি বানিয়েছিলেন, তবে সেটাও বিক্রি হয়নি। পরবর্তীতে এই ধারা এভাবেই এগিয়ে চলে, পরিবারে আর্থিক অবস্থা কঠিন হয়ে পড়ে বলে শোনা গেছে।

কাজল দাসের বড় ভাই জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা দুই ভাই মিলে রাস্তায় এক সঙ্গে হাঁটছিলেন এবং অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু সকালে এভাবে তার ছোটভাই আত্মহত্যা করবেন, সেটা বোঝা যায়নি। তবে যে পরিস্থিতিতে মৃতদেহ পাওয়া গেছে সেটা নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ করতে শুরু করেছেন। যে কাঠের সঙ্গে মৃতদেহ ঝোলানো, সেটা খুব উঁচু নয় এবং মৃতদেহের পা মাটিতে লেগে যাচ্ছে। একটা কাপড়ের দড়ি দিয়ে ঝুলছে মৃতদেহটি এবং নিচে একটি প্লাস্টিকের বালতি রয়েছে। পুলিশের তরফে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি, তবে তারা পরিবারের লোকদের বয়ান নিচ্ছেন।

Comments are closed.