প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে বদরপুরে গ্রেফতার ৪৩-বছরের এক ব্যক্তি
১৭-বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে তার ঘরেই ধর্ষণ করার দায়ে বদরপুরের ধর্মনগর বস্তির এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের বয়ান অনুযায়ী কৃষ্ণ মজুমদার নামের লোকটি তাদের পরিচিত এবং আগেও বাড়িতে আসত। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ সুযোগ বুঝে বাড়ির পিছনের দিক দিয়ে চুপিসারে ঢুকে মুখে কাপড় বেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। যেহেতু মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী সে খুব একটা প্রতিবাদ করতে পারেনি এবং তৎক্ষনাত পরিবারের লোকদের ডেকে সাহায্য চাওয়ার সুযোগ পায়নি। লোকটি বেরিয়ে যাওয়ার পর সে তার পরিবারের লোকদের কাছে ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরে এবং তারা বুঝতে পারেন তার শ্লীলতাহানি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা বদরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
বদরপুর থানার ইনচার্জ দীপক শইকিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পোকসো অ্যাক্ট ২০১২-য়ের অধীনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যেহেতু মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী, খুব সাবধানে তার বয়ান নেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে। এটি একটি সংবেদনশীল ঘটনা, ফলে অনেক তথ্যই প্রকাশ্যে আনা হবে না। পরিবারের লোকরা দাবি করেছেন, অভিযুক্ত তাদের কন্যাকে ধর্ষণ করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেই তথ্য আদালতের কাছে পেশ করা হবে। লোকটির বিরুদ্ধে কঠিনতম পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটুকু আশ্বাস আমরা দিতে পারি।”
পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেলে নিজের বাড়ির উঠোনে পায়চারি করছিল ১৭-বছরের মেয়েটি। তখন বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। বড়ো মেয়ে বাড়ির নিচে কুয়ো থেকে জল আনতে গিয়েছিল। এই সুযোগে প্রতিবেশী কৃষ্ণ মজুমদার নামের ব্যক্তি পেছনের রাস্তা দিয়ে ওই বাড়িতে ঢুকে এবং উঠোনে পায়চারি করতে থাকা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে মুখে চাপা দিয়ে জোর করে একটা ঘরে নিয়ে যায়। মুখে কাপড় বেঁধে জবরদস্তি ধর্ষন করে এবং খুব সাবধানে পালিয়ে যায়। সে বেরিয়ে যাবার পর তরুণীটি চিৎকার করলে জল আনতে যাওয়া বোন এবং আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা বিস্তারিত জানার পর তাকে সঙ্গে নিয়ে বদরপুর থানায় উপস্থিত হন এবং মামলা দায়ের করেন।
পরিবারের লোকরা বলেন, “আমাদের ছোট মেয়েটির বয়স ১৭-বছর হলেও মানসিকভাবে এখনো সে ৫-বছরের শিশুর মত। কৃষ্ণ মজুমদার আগেও আমাদের বাড়িতে এসেছে এবং সে পরিবারের একজনের সঙ্গে পরিচিত। তার মনে এমন উদ্দেশ্য ছিল সেটা আমরা আঁচ করতে পারিনি। এই ঘটনায় আমাদের মেয়েটি মানসিকভাবে একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমরা চাই পুলিশের তরফে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আইনত কঠিন সাজা দেওয়া হোক।”
Comments are closed.