পুলিশে নিয়োগ: ১৭৫ এর উপর আবেদনকারীর মধ্যে কেউ পারল না দৌড়ের পরীক্ষা উত্তরাতে , দায়ী করল দৌড়ানোর ট্র্যাককে
রাজ্য পর্যায়ে পুলিশে ২৩৯১ ইউবি কনস্টেবল এবং ৪২৭১ জন এবি কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে। কাছাড় জেলা সহ আসামের ১৫টি জেলায় শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া।
আজ শিলচর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৭৫ জনের উপর মহিলা আবেদনকারী এই শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে একজন ও এই দৌড়ানোর পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। মহিলা আবেদনকারীকে ১৬০০ মিটার দূরত্ব ৮ মিনিটের ভিতরে সম্পন্ন করতে হয়, কিন্তু আজ কেউই এই সময়ের ভিতরে তা করতে সক্ষম হননি। এমনতরো ঘটনায় বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেছেন কারণ এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি!
আজকে শারীরিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ কয়েকজন চাকুরিপ্রার্থী বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান , ট্র্যাকে প্রচুর বালি ছিল যা দৌড়ানোর পক্ষে একেবারেই অনুপযুক্ত । বালুর উপরে দ্রুতবেগে দৌড়ানো সম্ভব ছিল না।
“আমরা আগামীকাল বালু সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব এবং আশাকরি আগামীকাল কিছু সুসংবাদ পাওয়া যাবে”, বললেন কাছাড় জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার কল্যান কুমার দাস। তিনি আরো বলেন, “পুরো ট্র্যাকে বালু ছিল না, কারণ কিছু স্থান থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল”।
যাই হোক, আগামীকাল বালু সরিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু আজ যারা অসফল হলো তাদের কি হবে, তারা কি আবার সুযোগ পাবে। এই প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি পুলিশ সুপার জানান, ” দেখুন শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) থেকে প্রতিনিধিরা এসে সবকিছু দেখে এই ট্র্যাককে অনুমোদন দিয়েছেন। যাই হোক আমরা ব্যাপারটা সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান ষষ্ঠ আসাম পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্টকে জানাবো । তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আজকের অসফল চাকুরি প্রার্থীদের আবার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা। আমরা আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে সিলেকশন কমিটির মিটিংয়ে”, জানালেন ডিএসপি কল্যান কুমার দাস।
পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এমনিতেই অনেক বিঘ্ন ঘটে ছিল। কারণ দুর্নীতি জন্য পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছিল, তারপর এসেছিল নির্বাচন। চাকরি প্রার্থীরা আগ্রহভরে এতদিন ধরে আসাম পুলিশের নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আসাম পুলিশের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন এক বৃহৎ সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী। কারণ আসাম পুলিশে বেশ বড় ধরনের নিয়োগ করা হয়। এখন এই দৌড়ানোর ট্র্যাকে বালু থাকা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেটা দেখার বিষয় ।
Comments are closed.