Also read in

কাছাড় পুলিশের এক বিশাল সাফল্য এবং বরাক উপত্যকার জনগণের জন্য এক স্বস্তি।

একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে কাছাড় পুলিশ গতকাল রাতে বাইক চুরির পান্ডা কমরুল ইসলাম বরভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে। গোপন সুত্রের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সোনাবাড়িঘাটের সৈদপুর চতুর্থ খণ্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করে।তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, গোলাবারুদ, তিনটি মাস্টার কি (চাবি), তেরোটি গাড়ির লক ভাঙার সরঞ্জাম, গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশ, চারটি জাল নম্বর প্লেট, একটি নীল রঙের চুরির নম্বর প্লেট এএস – ১১ ডি ৯২৯৯ জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল রাত প্রায় দশটার এই অভিযান পরিচালনা করে। পরে তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়, জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল ইসলাম স্বীকার করে যে সে সমগ্র বরাক উপত্যকায় বিভিন্ন বাইক চুরির চক্রগুলি চালাচ্ছিল। সে বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

 

 

পুলিশ জানায়, তার বক্তব্যে সে এই অপরাধগুলি স্বীকার করেছে:

১. ২০০৭ সাল থেকে সে মোটর সাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন চুরি করে আসছিল।
২. বরাক উপত্যকায় প্রায় পাঁচ হাজার মোটর সাইকেল আজ পর্যন্ত সে চুরি করেছে।
৩. সে আজ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশটি বারো চাকার ট্রাক চুরি করেছে।
৪. জিরিবাম, আইজল এবং পাথারকান্দিতে চুরি করা বাইক/যানবাহনগুলো সে বিক্রি করতো।
৫. কাছাড় জেলায় গাড়ির চুরির প্রায় সব ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত ছিল।
৬. সে বরাক উপত্যকা এবং গুয়াহাটি থেকে চুরি করা বাইকগুলো গ্রহণ করতো।
৭. একটি মোটর সাইকেল চুরির জন্য তার মাত্র তিন মিনিট সময় লাগতো এবং বড় ট্রাক চুরি করতে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় প্রয়োজন হতো।
৮. সে অস্ত্রশস্ত্র চোরাচালানের সাথে ও জড়িত ছিল। ডিমাপুর থেকে পিস্তল কিনে সে ৫৫০০০ টাকায় অন্যান্য চোরাকারবারিদেরকে বিক্রি করে দিত।
৯. ২০০৭ সালে সে মধুরবন্দ থেকে একটি ঔষধবোঝাই ট্রাক ছিনতাই করে এবং ইম্ফলে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিল।
১০. সে দুইজনকে খুনও করে। এই দুইটি ঘটনায় ২০১৩ সালে সৈয়দপুরের লুৎফুর রহমান চৌধুরী এবং ২০০৭ সালে বারোহালির আরুল ইসলাম চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে ওদের মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছিল।
১১. সে স্থানীয় চোরদের কাছ থেকে চুরি করা ল্যাপটপ সংগ্রহ করে আবার বিক্রি করতো।এই রকম কুড়িটি ঘটনার সাথে সে জড়িত।
১২. সে অনেকদিন ধরে মাদকদ্রব্যের ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল।
পুলিশ এই বৃহৎ চুরিকাণ্ডে কমরুলের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

 

Comments are closed.