ক্ষীরোদ বরুয়া সিনিয়র আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ডি জোনের ফাইনালে স্থান করে নিল শিলচর। শুক্রবার জোনের কার্যত সেমিফাইনালে ঘরোয়া দল ২-০ গোলে হারায় লক্ষীপুর দলকে। এর সুবাদে ডি জোনের ফাইনালে আগামী রবিবার করিমগঞ্জের বিরুদ্ধে খেলবে শিলচর। অন্যদিকে, আসর থেকে ছিটকে গেল লক্ষীপুর।
এদিন এস এম স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারেনি লক্ষীপুর। যা তাদের বিদায় নিশ্চিত করে দেয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো ফাইনাল পাসে। সেইসঙ্গে ডিফেন্স লাইন ও নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও কিন্তু খারাপ খেলেনি লক্ষীপুর। দুই উইং ধরে তারা বারবার আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সেটা কোনো কাজে আসেনি।
অন্যদিকে, ছোট ছোট পাসে খেলা শিলচর দলে বেশ ভালই বোঝাপড়া ছিল। আসলে টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির সময় এভাবেই ছোট ছোট পাসে খেলে প্র্যাকটিস করেছিল শিলচর দল। কোচ বাহারুল ইসলাম লস্কর এর টোটকা খুব কাজ দিয়েছে। বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তুলতে দলের এই স্ট্রাটেজি পুরোপুরি সফল।
এদিন শিলচরের হয়ে দুটি গোল করেন অ্যাপেলো রংমাই। যথাক্রমে ১৩ এবং ৩৫ মিনিটে। দুটো গোলের ক্ষেত্রেই কিন্তু লক্ষীপুরের ডিফেন্স লাইন কম বেশি দায়ী। প্রথম ম্যাচে হাইলাকান্দির বিরুদ্ধে লক্ষীপুরের ডিফেন্স লাইনকে সে রকম কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু শিলচরের বিরুদ্ধে চাপের মুখে পড়তেই ডিফেন্সের ফাঁকফোকর গুলো বেরিয়ে আসে। দু গোলে পিছিয়ে পড়লেও লক্ষীপুর কিন্তু লড়াইয়ে ফেরার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। ইনজুরি টাইমে তারা একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল। কিন্তু কুমার শানু রাজবংশী পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। তার নেওয়া পেনাল্টি সহজেই আটকে দেন শিলচরের গোলকিপার শহিদুল ইসলাম লস্কর।
এদিকে হারলেও দলের খেলায় খুশি লক্ষীপুরের কোচ রিংসন মার। তিনি বলেন, ‘দল তেমন প্র্যাকটিস করার সুযোগ পায়নি। স্কোয়াডের অধিকাংশই একেবারেই অনভিজ্ঞ। তাই এমন একটি দল নিয়ে ছেলেরা যে লড়াই দিয়েছে আমি তাতে খুশি।’ অন্যদিকে শিলচরের কোচ জানান, প্রথম ম্যাচ হিসেবে দল খারাপ খেলিনি। তবে তিনি দলের কাছ থেকে আরো ভালো ফুটবলের আশা করেন। ফাইনাল ম্যাচ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘করিমগঞ্জের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
Comments are closed.