ডিএফও -র কার্যালয়ে বসে মদ্যপান : দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করল বন বিভাগ
বারাক বুলেটিনের স্টিং অপারেশনে বেশ বড় ধরনের প্রভাব পরিলক্ষিত হল। শিলচরের বন বিভাগের কার্যালয়ের ভিতরে মদ খাওয়ার দৃশ্যে থাকা দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরেক কর্মকর্তাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
কাছাড় জেলার ডিভিশন্যাল ফরেস্ট অফিসার তেজস মারিস্বামী বরাক বুলেটিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। “পাবলিক ডোমেইনে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে, বিভাগ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমান্তরালভাবে তদন্ত ও চলবে। তাদের অসদাচরণের জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে,” ডিএফও তেজস মারিস্বামী বলেন।
স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থ এবং সৌম্য কান্তি সিনহা (রানা) কে মদ খেতে দেখা গেছে। দুজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে, ডিএফও জানিয়েছেন। সরকারি ইউনিফর্ম পরিহিত ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থকে হাতে মদের গ্লাস সহ ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল। তারা শিবহরি সিনহার অফিস সংলগ্ন একটি কক্ষে বসে মদ খাচ্ছিলেন, প্রটেকশন রেঞ্জার কাম শিলচর সদর ইনচার্জ ও নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তবে, তিনি কক্ষ থেকে দূরে সরে গিয়ে কাজের টেবিলে বসে পড়েন।
ডিএফও জানিয়েছেন যে, শিবহরি’র বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকার রেঞ্জার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ করে বনভূমি রক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য । চব্বিশ ঘণ্টা সজাগ থাকার জন্য শিফটে মোতায়েন করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, কাছাড় বন বিভাগ এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস যা তার অধিক্ষেত্রের বনভূমির বন্যপ্রাণীর জন্য দায়ী। দুর্বৃত্তরা এবং চোরা শিকারীরা রাতে সক্রিয় হয় এবং তাই, রাতের ডিউটিতে থাকা রেঞ্জারদের সব সময় সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু, শিলচর দিভিশনাল ফরেস্ট অফিস রাতে বারে রূপান্তরিত হয়ে যায় । সরকারি বেতনভোগী কর্তব্যরত কর্মকর্তারা পার্টির মেজাজে থাকার জন্য তাদের সতর্কতা মোড ওফ করে দেন। এতদিন এটি একটি গুজব ছিল, বরাক বুলেটিনের স্টিং অপারেশনের ফলে ফরেস্ট অফিসের ভেতরের অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছিল।
প্রোটেকশন রেঞ্জারের অফিসের পাশের একটি কক্ষে ইউনিফর্ম পরিহিত ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থ এবং ডিউটিতে থাকা সার্ভেয়ার সৌম্য কান্তি সিনহা (রানা) কে মদ খেতে দেখা যায়।
কর্মকর্তারা যখন মিডিয়া দেখেন, তারা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ট্রাকের নীচে লুকিয়ে ছিলেন এবং কয়েকজন কর্মকর্তা কেবল দৌড়াতে থাকলেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Comments are closed.